Friday, December 27, 2013

তুমি কাছে নেই বলে
মিষ্টি সকাল আমার অসহ্য লাগে।
তুমি পাশে নেই বলে
থেমে আছে আমার স্বপ্ন দেখা।
তুমি দূরে তাই মনের বাগানে
এখন আর বসন্ত আসে না।
আবার তুমি আসবে
স্বপ্ন ভরা রাতের শেষে,
সুন্দর এক বসন্তের সকালে
তোমায় নিয়ে হাটবো,
ফুলে ফুলে ভরা এক বাগানে
কত দিন স্বপ্ন দেখা হয় না
তুমি কাছে নেই বলে।
আমি আবার স্বপ্ন দেখতে চাই।
জানিনা কেন আমার এমন হয়?
কেন তোমায় নিয়ে আমি এত স্বপ্ন দেখি?
আমি জানি আমি তোমায় কত ভালোবাসি ..
জানিনা কেন এত তোমায় মিছ করি
আমি শুধুই ভালোবাসি তোমায়
তোমার সেই মায়াবী চেহারাটা যখনি আমার
চোখে ভাসে তখন আমার চোখগুলো আর
পানি না ছেড়ে থাকতে পারে না।
জানিনা কেন তোমার জন্য আমার এত মায়া
হয়ত এরই নাম ভালোবাসা।
সুখ নামের ছোট নৌকায় আমি দুখের
মাঝি,আমার কষ্ট ভাগ করতে কেউ হয়
না রাজি।এ
জীবনে চলতে গিয়ে পাইনি সুখের
দেখা,শান্ত নদীর মাঝে আমি আজও
একা
বৃষ্টি রে
তুই আসবি কবে...?
আমায় একটু বল
"তোর জন্য
রেখেছিধরে..
আমার চোখের জল!!
"কাঁদবো আমি তখন "
তুই আসবি যখন"
খুঁজবে না কেউ আর"
আমার কান্নার
কারন।
একটা ভালোবাসার সম্পর্ক
ভেঙে যাবার পর একটা মেয়ের
পাশে দাঁড়ানোর মত মানুষের অভাব
হয় না কিন্তু
একটা ছেলের পাশে দাঁড়ানোর মত
মানুষ খুবই কম
পাওয়া যায় ।
একটা সুন্দর মানুষ
তোমাকে সুখী
করতে পারবেনা,
কিন্তূ একটা সুন্দর মন
তোমাকে অনেক সুখী
করতে পারবে..
তাই সুন্দর মানুষ কে নয়,
সুন্দর মন কে ভালবাসতে শিখো
ভালবাসে একবার কারো হাত
ধরার আগে একটু ভেবে নিয়ে,
ঐ হাতটা সারাজীবন
ধরে রাখতে পারবে কিনা।
যদি না পার, তাহলে শুধু শুধু
হাতটা ধরে তাকে কষ্ট দিওনা,
কারন এতে সে সামকিক আনন্দ পেলেও...
সারাজীবন কষ্ট পাবে......

এই ভাবে ভালোবাসা হয় না

এক মেয়েকে এক ছেলে অতিরিক্তমাত্রায় পাগলের মত ভালোবাসে। তবে যে মেয়েকে ছেলেটা ভালোবাসে সেই মেয়েটা ছেলেটাকে পরীক্ষাকরার জন্য একদিন বলল যে,"তুমি যদি তোমার মায়ের কলিজা নিয়ে এসে আমায় দেখাতে পারো তাহলে বুঝবো যে তুমি আমায় ভালোবাসো।"ছেলেটা মেয়েটার কথামত সেই কাজে মন দিলো। কোনো ভাবনা,চিন্তা ছাড়াই সে সিদ্ধান্ত নিলোযে করেই হোক তাকে তার মায়ের কলিজা নিয়ে তার ভালোবাসার মানুষকে দেখাতে হবে। অতঃপর সেই ছেলে তার মায়ের কলিজা নিয়ে তারভালোবাসার মানুষটিকে দেখালো। মেয়েটি ছেলেটির কাজ দেখে অবাক হয়ে গেলো এবং মনে মনে বলতে লাগলো আমি কেনো তাকে এই পরীক্ষা করতে গেলাম। তখন ছেলেটা বলল তোমার মত মেয়ে হারিয়ে গেলেও, আরে অনেক মেয়ে পাবো।কিন্তু যিনি আমার জন্ম ধারিনী মা, যার জন্য এই পৃথিবীর আলো দেখা তাকে হারালে আর কোনো দিন ফিরে পাবো না। নাই বা পেলাম তোমার ভালোবাসা। মেয়েটি কাঁদো কাঁদো স্বরে বলল তাহলে ঐ কলিজাটা? ছেলেটা বলল ঐ কলিজাটা হলো একটা ছাগলের। রিয়াল ভালোবাসায় কোনো পরীক্ষা নেওয়া উচিৎ নয়। আর কোনো ছেল/মেয়ে যদি ভালোবাসায় এরকম পরীক্ষার কথা বলে তাহলে তাকে প্রত্যাখ্যান করুন। কারন ভালোবাসা এভাবে হয় না।

Sunday, December 22, 2013

ধীরে ধীরে



মেয়েঃ আমি তোমাকে অসম্ভব মিস করেছি।
ছেলেঃ হ্যা, তো ?
মেয়েঃ সত্যি আমি তোমাকে অনেক কাছে পেতে চেয়েছি।
ছেলেঃ ঠিক আছে, বিশ্বাস করলাম।
মেয়েঃ আমাকেক্ষমাকরে দাও
ছেলেঃ কেনো ???
মেয়েঃ তুমি আমার সাথে যোগাযোগ এর জন্য যত চেষ্টা করেছো সব ইগনোর করার জন্য।
ছেলেঃ ওহ!! ব্যাপার না। প্রথম প্রথম খারাপ লাগতো , তার পর একসময় আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, তার পর আমি চেষ্টা ছেড়ে ভুলা শুরু করেছিলাম।
মেয়েঃ আমি তোমাকে ভুলতে চেয়েছি কিন্তু তোমার কথা শুধুই আমার মনে পরতো। আর...
ছেলেঃ ......
মেয়েঃ আমি ভেবেছিলাম হয়তো আমি তোমাকে আর পাবো না, কারন ছয় বছর পার হয়ে গিয়েছিলো।
ছেলেঃ ঠিক আছে।
মেয়েঃ কিভাবে ঠিক আছে ? আমি কিছুই ঠিক দেখতে পাচ্ছিনা।
ছেলেঃ আমি ভাবতাম তুমি ফিরে আসবে কিন্তু তুমি ছয় বছরে আসোনি। তার পর প্রকৃতি আমাকে বাস্তবতা শিখিয়েছে। আর আমি আশা ছেড়ে এগিয়ে চলেছি।
মেয়েঃ মানে ? আমি কি খুব দেরি করেছি ??
ছেলেঃ কিসের জন্য দেরি করেছো ?
মেয়েঃ তোমার কাছে ফিরে আসার জন্য ??
ছেলেঃ জানো এই কথাটা আরো বছর আগেও আমি শুনতে চেয়েছিলাম তোমার কাছে। কিন্তু এটা শুধুই
ইচ্ছা হিসেবে রয়েগিয়েছে। তার পর আমি অনুভব করেছি ইহা সম্ভব নয়। তার পর আমি আশা করা ছেড়ে দিয়েছি।
মেয়েঃ আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, এইবার আমি তোমার সব স্বপ্ন পূর্ন করবো।
ছেলেঃ এটা আর কখনোই সম্ভব নয়ে। আমার জীবনে কেউ একজন চলে এসেছে ২বছর আগে।
মেয়েঃ তোমার জন্য এটা ভালো হয়েছে, কে সে ? আমি কি তার সাথে দেখা করতে পারি ?
ছেলেঃ সে তোমার সাথে কখনোই দেখা করবে না।
মেয়েঃ কেনো ????
ছেলেঃ (ধীরে ধীরে বলছে) সে এমন কারো সাথে দেখা করতে চায় না যে আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। তোমার কাছে এইবার আমিক্ষমাচাই তুমি একবার আমার হৃদয়ে ভেঙ্গেছো। আমি আবার সেই ঝুকি নিতে পারবো না। যাই হোক ৬টি বছর নিরব থাকার পর আমার সাথে কথা বলতে আসার জন্য ধন্যবাদ তোমায়। মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে চলেগেলো
(মেয়েটি চলে যাবার পর) ছেলেটি তার মানিব্যাগ বের করলো আর সেখান থেকে মেয়েটির ছবি বের করলো। কয়েকফোটা জল তার চোখ থেকে বেয়ে বুকের উপর পড়লা। আর সে বললসেই মেয়েটি আজো তুমি

Friday, December 20, 2013

একটি ছেলে আর একটি মেয়ে রিক্সায় করে ঘুরতে বের হয়েছে......

ছেলেঃ তোমাকে কিছু কথা বলার ছিল।।
মেয়েঃ কি কথা??
ছেলেঃআমি জানি না কথা গুল
মেয়েঃআরে বাবা এত না ভেবে বল তো কি হয়েছে???
ছেলেঃ আমি আর পারছি না তোমার সাথে মানিয়ে চলতে, অনেক চেষ্টা করেছি,কিন্তু পারিনি আর তাছাড়া আমি আর একজনকে এখন ভালোবাসি।। আমি আর তোমাকে ভালোবাসি না।। আমাকে একটু একা থাকতে দিবে??? ছেলেটা একনাগাড়ে সব বলে ফেলল......... মেয়েটি সব শুনে দুই মিনিট চুপ করে রইল............ তারপর মেয়েটা ছেলেটার গালে একটা শরংং দিয়ে বলল,
মেয়েঃআমি জানি আমার জন্য এত ভালোবাসা ত্যাগ করে তুমি অন্য কাউকে ভালবাসতে পারবে না, দুনিয়াতে যত সুন্দর মেয়েই হোক না কেন,সে তোমাকে যতই ভালবাসুক না কেন,তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কেউকে ভালবাসবে না।।অন্তত তুমি আমায় ছেড়ে যাবে না... কেন শুধু শুধু এগুলো বলে আমায়
কাঁদাও,নিজেও কষ্ট পাও??? এই বলে মেয়েটা ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে ছেলেটা কিছু বলতে পারে না শুধু তার চোখদিয়ে আনন্দ অশ্রু বেয়ে পড়ে মেয়েটির গাল ভিজিয়ে দেয়............

তখন আমায় ডেকো একটিবার

যখন নিজেকে খুব একা লাগবে ,
সন্ধার বাতাসে নিজেকে খুব হতাশ লাগবে ,
দুঃসহ সৃতিগুলো কষ্ট দিবে ,
একা একা বিষন্ন মনে বেলকোনিতে বসে থাকবে ,
যখন কিছুই ভাল লাগবেনা
তখন আমায় ডেকো একটিবার ।
আমি সব কিছু ফেলে চলে আসবো
তোমার কাছে..... তবে
চিন্তা কোরোনা কোন
কিছু চাইবোনা তোমার কাছে ।
শুধু নিস্বার্থ ভাবে ভালবেসে যাবো..

Friday, December 6, 2013

শেষের কবিতা

কত দিন পর দেখা হলো-
হলোনা কোনো কথা,
তোমার করুন দৃষ্টি দেখে-
প্রানে লাগলো মোর ব্যথা ।
ঝরনার মতো বয়ে নয়-
ফুলের মতো থেকো ,
ভুল বোঝনা বন্ধু তুমি-
আমায় মনে রেখো।
সুখের সাগরে রাখতে না চাও-
দুঃখের সাগরে দিও ঠাই,
ভালোবেসে যাবো তোমায়-
আমার কর্ম চিন্তার জীবন মোহনায়।

শেষের কবিতা

কত দিন পর দেখা হলো-
হলোনা কোনো কথা,
তোমার করুন দৃষ্টি দেখে-
প্রানে লাগলো মোর ব্যথা ।
ঝরনার মতো বয়ে নয়-
ফুলের মতো থেকো ,
ভুল বোঝনা বন্ধু তুমি-
আমায় মনে রেখো।
সুখের সাগরে রাখতে না চাও-
দুঃখের সাগরে দিও ঠাই,
ভালোবেসে যাবো তোমায়-
আমার কর্ম চিন্তার জীবন মোহনায়।

প্রতিজ্ঞা

সহস্র রাতের নির্ঘুমতার প্রতিজ্ঞা ,
তোমাকে যদি পাই-
নীলগিরির তলদেশ থেকে একমুঠো সুন্দর
সকালের মিষ্টি রোদ ছিনিয়ে এনে
তোমার কপালের টিপ বানাবো ।
তোমাকে যদি পাই
পায়রা-বিষখালীর মোহনা থেকে
স্বচ্ছ পলির সুবাস ছিনিয়ে এনে
অলংকার পড়াবো .
তোমার সুনিপণ শরীরী গভীর ভাঁজে ।
তোমাকে যদি পাই আমি ছিনতাইকারী হবো ,
আকাশ থেকে ছিনতাই করবো নীল ,
সাহারা মরুভূমি থেকে চিকচিকে বালুকণা ,
গোলাপ থেকে নেবো শত বছরের সজীব নিঃশ্বাস ,
তারপর সমস্ত সৌন্দর্য মিশ্রিত করে
অজস্র রাতের নির্ঘুমতার ক্লান্তিশেষে ,
চিরনিদ্রার আসনে আসীন হব তোমায় ভালবেসে ।

ওষ্ঠপট

আশ্বিনের ঈশান কোনে সিঁদুরে মেঘ দেখে
মনে পড়েছিল আজ বুঝি কুমারী পুজা
অমন ঠোঁটে তাই লিপস্টিক দিয়েছ।
আর যেদিন তুমি- দুপুরে ঘুমাবে বলে
অমন দু ঠোঁটে আঙুল চেপে শান্ত করেছিলে বসন্তের কোকিলকে
সেদিনই আমি বাজার থেকে দু টাকার এক বাঁশি কিনেছিলাম
তোমার মুখ টিপে হাসি দেখে কুঁচকে গিয়েছিল
দ্বাদশীর ছদ্মবেশী আততায়ী চাঁদ
তার ভাঁজে রেখে দিয়েছি আমার বয়ঃসন্ধিকাল
উঠানে নাড়া মাশকলায়ের ডালে মুখ দিলে
পোষা কবুতরগুলোকে তুমি ঠোঁট নেড়ে
এমনভাবে তাড়া করেছিলে
আমি খেয়া নৌকা নিয়ে চলে গেছিলাম বহুদুর-
সেখানে হারিয়েছি আমার কৈশোর
প্রাচীরের সহজাত ক্ষতে আগাছা জন্মাতে দেখে
তোমার ঠোঁটে ফুটে উঠেছিল বন্দিদশা বিরক্তি
হয়ত সেজন্যই পাড়ার বখাটে ছেলেগুলি
আর কোনদিন তাকায়নি তোমাদের বাড়ির ওদিকটায়
কুলুঙ্গিকোঠরে বাতি জ্বেলে রুপকথার গল্প পড়ছিলে
কোন এক সন্ধ্যায়- তার ছায়া খোলা জানালা
বেয়ে এসে পরেছিল আমাদের দক্ষিনের বারান্দায়
অধরছায়ার রুপ আর কথা নিয়ে
সেদিন আমি রচনা করেছিলাম ভাললাগার প্রথম পাণ্ডুলিপি
হয়ত সেদিনই আমার যৌবনের প্রথম পদার্পণ।

আমি অনেকটা চাদের মতো

আমি অনেকটা চাদের মতো
দুরে থেকে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন রকম
কাছ থেকে সবার কাছে একই
সুর্যের আলোতে চাদ যেমন জোছনা ছড়ায়
আর আমাবস্যায় তার অস্তিত্ত থেকেও নেই
ঠিক তেমনি মাঝে মাঝে আনন্দে আমার মন
পুলকিত হয় আর দুখে হয় নির্জীব অস্তিত্থীন
আমি অনেকটা চাদের মতো
ভিন্নজনের কাছে ভিন্ন রকম
আমার মনটা চাদের বড় বড় গর্তের
মতো কষ্ট দিয়ে ক্ষত -বিক্ষত
আছে শূন্যতার এক গভীর খাদ
চাদ নাকি পৃথিবী থেকে আলাদা হয়েছিল
আর আমি তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন হইয়ে
সেই একবুক দুঃখ আছি তোমার থেকে অনেক দুরে
আমি অনেকটা চাদের মতো
সবাই তাকে নিয়ে লেখে প্রেমের পদ্য
আর আমি লিখেছি আমাক

মৃত্যুদন্ড

বেকসুর আমি তবু আমাকেই মৃত্যুদন্ড দিলে!
কী করে তোমার কাছে অপরাধী, এখনও জানি না;
কস্মিনকালেও আমি শত্রুতা সাধিনি, শুধু বীনা,
অলৌকিক, প্রেমময়, বাজিয়েছি। সেই সুরে ছিলে
মিশে তুমি বসন্তের পাতার গভীরে, শান্ত ঝিলে,
শস্যক্ষেতে নীলিমায়। এই কি আমার অপরাধ?
আমার সর্বস্ব দিয়ে রাত্রিদিন একটি নিখাদ
প্রেমস্বপ্ন গড়ি, তা-ও ভেঙ্গে যায় কী কর্কশ ঢিলে।
আমাকে পাঠালে নির্বাসনে, দিলে দন্ড ভয়ংকর।
তোমার সান্নিধ্য থেকে, অমন দৃষ্টির থেকে দূরে,
বহুদুরে চকিতে সরিয়ে দিলে- এই শাস্তি, বলো,
মৃতের চেয়েও বেশি, ঢের বেশি নয় কি কঠোর?
তুমি কি দেখতে চাও সর্বদা আমার ছলছল চোখ?
চাও আমার হৃদয় খাক কীট কুরে-কুরে?

কখনো রঙিন, কখনো ধূসর, কখনো নীল

কিছু কিছু নাম্বার থেকে আর আসবেনা কোন ফোন
কিছু কিছু এসএমএস পড়ে আর হাসবে না এ মন।
কোন কোন ঠিকানায় লিখবোনা আর কোন চিঠি
কোন কোন গলিতে করবে না মন হাটা হাঁটি।
খুঁজবো না আমি, খুঁজবেনা মন, খুঁজবেনা এই চারপাশ
কখনো রঙিন, কখনো ধূসর, কখনো নীল আকাশ।
জেনেছি আমি, জেনেছে এ মন, জেনেছে এ চারপাশ
যাবেনা ফিরানো তবু ফিরানোর, মিলছে আশ্বাস।
অনেক আড্ডায়, অনেক হাঁসিতে, হয়না খোঁজা সেই মুখ
হারানোর বেদনায় পিছু ফেলে সমসায়িক সুখ।
অনেক একায় অনেক ভীড়ে তোকেই খুঁজে ফিরি
একটু দাঁড়া আসছি আমি, না হয় হচ্ছে একটু দেরি।
কিছু কিছু নাম্বার থেকে আর আসবেনা কোন ফোন
কিছু কিছু এসএমএস পড়ে আর হাসবে না এ মন।
কোন কোন ঠিকানায় লিখবোনা আর কোন চিঠি
কোন কোন গলিতে করবে না মন হাটা হাঁটি।

Friday, November 22, 2013

** গল্পটি পড়–ন, চোখে পানিচলে আসবে **

মেয়ে : বাবা, তুমি ঘন্টায় কত টাকায় আয় কর?
বাবা: (স্তম্ভিত হয়ে) কেন সেটা দিয়ে তোমার কী দরকার?
মেয়ে: দরকার আছে বাবা, প্লিজ বল না...
বাবা: ২০০ টাকা।
মেয়ে: আমাকে সেখান থেকে অর্ধেক ধার দিতে পারবে?
বাবা: দেখ, আমি অনেক কষ্ট করে টাকা রোজগার করি, তুমি যদি ভেবে থাকো আমার সেই টাকা ধার করেখেলনা কিনবে, তাহলে খুব খারাপ কাজ করেছো। এখন বরং ঘুমাতে যাও। বাবার রাগ কিছুক্ষণ পর নেমে গেলো। তিনি ভাবতে লাগলেন- হয়তো অন্য কোন কাজে টাকাটা মেয়ে়র আসলেই দরকার। তিনি মেয়ের ঘরের দরজায় নক করলেন-
বাবা: ঘুমিয়েছিস?
মেয়ে: না, বাবা।
বাবা: এই নে, আমি তোর জন্য ১০০ টাকা নিয়ে এসেছি। মেয়ে দরজা খুলে দিলো, তার হাতে একটা কাঁচের বৈয়ামে অনেকগুলো খুচরো টাকা। দেখে বাবার মেজাজ আবারো খারাপ হয়ে গেল...
বাবা: তোমার কাছে তো দেখছি যথেষ্ট টাকা আছে, তারপরও তুমি আমার কাছে টাকা ধার চাইলে কেন?
মেয়ে : না বাবা, আমার কাছে যথেষ্ট টাকা ছিলো না; তোমার ধার দেয়াা ১০০ মিলিয়ে হয়েছে। এই নাও
বাবা, এখানে ২০০ টাকা আছে। তুমি কী আগামী কাল এক ঘণ্টা আগে বাসায় ফিরে আমার সাথে রাতের
খাবার খেতে পারবে?? তারপর আমাকে একটা গল্প শোনাবে, আমাকে জড়িয়ে আদর করবে... বাবা তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন।
কাদের জন্য এত কষ্ট করছেন? একবারও
কী জানতে চেষ্টা করেছেন, তাঁরা আসলে কী চায়???
সম্মানিত অভিভাবকদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম???

Saturday, October 12, 2013

আমি অন্ধ

 একবার প্রেমিক প্রেমিকা বিয়ে করবে বলে ঠিক করলো, বিয়ের কয়েক মাস আগে মেয়েটির এক্সিডেন্ট হল আর তাঁর চেহারা পুরোপুরিনষ্ট হয়ে গেল! এর পর মেয়েটি ছেলেটিকে লিখল আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা, কারন আমি সারাজীবন এমন কুৎসিতথেকে যাব, তুমি তোমার জন্য সুন্দরি কোন মেয়ে খুজে বের কর কারন আমি তোমার যোগ্য না ! এরপর সে তাঁর প্রেমিক এর কাছ থেকে উত্তর পেল "যাই হোক আমার নিজের ও একটা সমস্যা হয়েছে আমার চোখে সমস্যা হয়েছে ডাক্তার বলেছে আমি অন্ধ হয়ে থাকব এর পরেও যদি তুমিআমাকে গ্রহন করতে পারো তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করব! এভাবেই তারা বিয়ে করে আর ভালোবাসা বোঝা পড়া আর আনন্দে ২০ বছর পার করে দেয় মেয়েটি অন্ধ স্বামীর চোখের আলো আর পথ প্রদর্শক হয়ে থাকে ! এরপর একদিন মেয়েটিট মৃত্যু সজ্জাতে চলে যায় কিন্তু মন খারাপ করে ফেলে যে সে তাঁর প্রিয়তমকে আবার অন্ধ অবস্থায় ফেলে যাবে !! শেষ পর্যন্ত সে মারা যায়! যেদিন সে মারা যায় সেদিনই তাঁর স্বামী সবাই কে অবাক করে দিয়ে চোখ খোলে! সে বলে " আমি অন্ধ ছিলাম না,আমি ভান করতাম যে আমি অন্ধ কারন সে যাতে তাঁর অসুন্দর চেহারার জন্য নিজেকে কখনো ছোট মনে করতে না পারে কারন আমার ভালোবাসা তাঁর চেহারার প্রতি ছিলনা, ছিল তাকে ঘিরেই"

Thursday, October 10, 2013

প্রেমিকার জন্য কিডনি বিক্রি

২০০৮ সালের জুন মাসের কোন এক রাত ২টা। মোবাইলে মিসকল। পরে ফোন ব্যাক। এরপর পরিচয়, ঘনিষ্টতা। এভাবে গড়ে উঠে পলাশ আর প্রমির প্রেম। চলে একটানা পাঁচ বছর। এরই মধ্যে দু’জনকে পোহাতে হয়েছে দু’পরিবারের নানা নির্যাতন। এরপরও তাঁদের ভালোবাসায় একটুও চিড় ধরেনি। একচুল দূরে সরাতে পারেনি তাদের কাউকে। চলছে ৫ বছর ধরে লাগাতার প্রেম। পলাশের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের নাথ পাড়ায়। আর প্রমির গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিন চাম্বল নাথায়। পলাশের চেয়ে প্রমির আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় প্রমির পরিবার তাকে মেনে নিচ্ছেনা। পরিবারের চাপে প্রমি পলাশকে বলে, পারিবারিক সমঝোতায় ও সামাজিকভাবে বিয়ে করতে হলে তাকে বড় লোক হতে হবে। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। না হলে তাকে পাওয়া যাবেনা। প্রেমিকার কথা মতো চেষ্টাও কম করেনি পলাশ। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন জায়গায় চাকুরি করেও নিজের কপাল খুলতে পারেনি সে। আগেরই পলাশই রয়ে গেছে। আগামী ১৩অক্টোবর প্রমির বিয়ের দিন ধার্য হয়েছে। তাকে তুলে দেয়া হবে অন্যের হাতে। এটি সহজেই মেনে নিতে পারছেনা পলাশ। সিদ্ধান্ত নিয়েছে পলাশ তার একটি কিড়নি বিক্রি করে হলেও ক্ষনিকের জন্য বড় লোক হয়ে তার প্রেমিকাকে বিয়ে করবে। পলাশ জানান, রোববারের মধ্যে কিডনি বিক্রি করতে না পারলে তার বড় লোক হওয়ার স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে। না হলে ওইদিন তার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

চাঁদ ও আমি


ভাবছি একটা চাঁদ কিনবো আমি, আমি আগেও চাঁদ কিনেছিলাম তুমি চলে যাওয়ার সময়, ভুল করে আমার চাঁদ টা নিয়ে গেছ তোমার সাথে করে। কি মনে নেই তোমার?? হয়তো তুমি এতদিনে চাঁদের আলোয় স্নান করে চাঁদ কে আলো শূন্য করে দিয়েছ। তাই আবার একটা চাঁদ কিনবো। আচ্ছা এখনো কি নতুন চাঁদ আগের মত আলো দেয়? আমি তো কতদিন চাঁদ দেখি না, সেই যে তোমায় নিয়ে শেষ কবে চাঁদ দেখেছিলাম দিনক্ষণ ভুলে গেছি। তাই আবার একটা চাঁদ কিনবো। চাঁদের জোছনায় নিজেকে ভাসিয়ে দেয়া সে তো তুমি জানোই আমায় উন্মাদ করে দেয়। এবারের চাঁদ আমি কেউ কে দিবো না। হ্যাঁ তুমি যদি আসো তোমাকেও দিবো না আমি, এই চাঁদ আমি আমার কাছে রেখে দেবো। যখন আমার মনের আকাশে আমাবস্যার অন্ধকার হবে? আমি বলবো এ চাঁদ একটু জোছনা দাও না আমায়  আমার আকাশ টা একটু রাঙ্গিয়ে দাও না তুমি। আমি দেখবো আমার চাঁদ আমায় আলো দিচ্ছে। আমি জোছনার আলোতে মনের সুখে গাইবো গান , লিখবো কবিতা। তাই এ চাঁদ আমি কাউ কে দিবো না। যদি কোনদিন তোমার ইচ্ছে হয়, তুমি এসো আমার আকাশের নিচে কোন এক জোছনা ভরা রাতে। আমি জোছনা দেবো তোমায়। কিন্তু আমার চাঁদ নয় । কারণ আমি যে আবার আমার আকাশ কে শূন্য করবো না, তাই এ চাঁদ আমি কাউ কে দিবো না ।

নিরবে হারিয়ে যাওয়া


একদিন একটা ছেলে আর একটা মেয়ে তাদের কলেজ বাসের জন্যে অপেক্ষা করছে মেয়েঃ আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই। ছেলেঃ আমিও। মেয়েঃ আচ্ছা। তুমি বল আগে তোমারটাই শুনি। ছেলেঃ না তুমি কারণ তুমি আগে বলতে চেয়েছো। মেয়েঃ না। তুমি বল। ছেলেঃ না। তুমি এভাবে তারা লড়াই করেই যাচ্ছে। হাটাৎ করে তাদের বাস চলে এল । মেয়েটা মেয়েদের বাসে উঠে গেল আর ছেলেটা ছেলেদের বাসে। বলা হল নাতাদের সেই কথাটা পরের দিন । ছেলেটা মেয়েটাকে কফি খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। মেয়েটাও রাজি হয়। কফিহাঊজে ছেলে আর মেয়েটি ...ছেলেঃ আমি কি তোমাকে কিছু বলতে পারি? মেয়েঃ অবশ্যই। ছেলেটি খুব ঘাভ্রিয়ে গিয়েছিল। ভয়ে বলল। ছেলেঃ না তেমন কিছু না। তোমার জামাটা খুব সুন্দর। মেয়েঃ তাই? ধন্যবাদ ছেলেটি বারবারই মেয়েটির দিকে তাকাচ্ছিল। মেয়েটি ছেলেতিকে জিজ্ঞেস করল। মেয়েঃ আচ্ছা সত্যি করে বলতো। তুমি নিশ্চয় কিছু লুকাচ্ছ? ছেলেটি এবার সাহস করে তার ভালবাসার কথা বলার জন্যে মনস্থির করল। ছেলেঃ মানে। আমি তোমাকে বলতে চাচ্ছিলাম যে... মেয়েটির ফোনে রিং বাজছে। মেয়েঃ ওহ সরি । আর সময় দিতে পারছি না। বাসা থেকে ফোন করেছে। পরে কথা হবে । এই বলে মেয়েটির প্রস্থান। বলা হল না ছেলেটির সেই কথা পরের দিন কলেজে দেখা হলে। ছেলেটি মেয়েটিকে মুক্ত পরিবেশ ঘিরা এমন একটা জায়গায় এক সাথে ঘোরার প্রস্তাব দেয়। মেয়েটিও রাজি হয় । পর দিন...... ছেলেটি মেয়েটীর জন্য অটো নিয়ে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আসছে না। মেয়েটি ছাত্রী হোস্টেলে থাকতো। ছেলেটি হটাৎ দেখতে পেল মেয়েটির বান্ধবী তার দিকে এগিয়ে এল এবং একটা চিঠিদিয়ে বলে, মেয়েটির বাবা অসুস্থ তাই সে বাড়িতে চলে গেছে। সুযোগ পায় নি জানিয়ে যেতে । শুধু এই চিঠি। চিঠিতে লিখ ছিল এইরুপ। মেয়েঃ আচ্ছা তুমি কি পুরুষ ? বুকে সাহস নেই? আমি তোমাকে ভালবাসি। এই কথাটা বলতে পার না। ভয় পাওয়ার কি আছে। আমার চোখ দেখে বুঝ না আমি তোমাকে কতোটা ভালবাসি। আনন্দে ছেলেটির চোখে পানি এসে গেল পর দিন......পত্রিকার নিউজ। গত রাতে ঢাকা গামি একটি বাস খাদে পরে গিয়ে গিয়েছে। অনেক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ছেলেটির ফোন বাজছে । ছেলেটির বন্ধুঃ ঐ তুই জলদি রাজশাহী মেডিকেল হসপিটালে আয়। ছেলেঃ কেনো? ছেলেটির বন্ধুঃ আরে মিমি ইক্সিডেন্ড করেছে । ছেলেটির মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গেপরল। ছুঠে গেল সিলেট। মেয়েটি বেড এ শুয় ছিল। অক্সিজেন দেওয়া অবস্থায়। ছেলেটি মেয়েটির পাশে বসলো । মেয়েটি ছেলেটির হাত ধরল আর আস্তে আস্তে মেয়েটি নিরবে ঘুমিয়ে পরল। ঐ রুম থেকে শুধু বেরিয়ে আসছিল ছেলেটির হাহাকার....

Tuesday, October 8, 2013

তোমার আমার প্রেম


আজ ইচ্ছে হচ্ছে দিস্তা দিস্তা কাগজ নিয়ে তোমায় একটা প্রেমের চিঠি লিখবো, ইচ্ছে হচ্ছে কবিবরদের মত করেই মনের ভাব প্রকাশ করবো এই কাগজে। তুমি পড়বে আর আতলে হারিয়ে যাবে আমার ভালোবাসার। আগে কখনো লিখিনি তোমায় প্রেমের চিঠি, তবে আজ লিখবোই আমি একটি প্রেমের চিঠি। আমার অনেক দিনের ইচ্ছে, তোমার আমার প্রেম কাহিনী আমি এমন করেই লিখবো কোন একদিন, হোক না সেটা আজেই, ক্ষতি কি। আজ আমি লিখে দিতে চাই আমাদের স্বপ্ন গুলো, আমার প্রাণ ছোঁয়া তোমার হাসির কথা তো থাকবেই, চিঠি তে থাকবে তোমার লজ্জা মাখা মুখ। আর থাকবে আমার ছোট ছোট দুষ্টামি, এই যাহ্ কি বলছি আমি পাগলের মত, নাহ ঐ গুলো কিছুই লিখবো না। শুধু লিখে যাবো হৃদয়ের কিছু লুকায়িত কথা। আমি লিখবো অন্তরের অন্তরে যে কথা গুলো জমে আছে সে কথা। তুমি পড়বে আর আতলে হারিয়ে যাবে আমার ভালোবাসার।যাই হোক আগে লিখি, তুমিই তো পড়বে, অন্য কেউ তো নয়। জানি তুমি একটা লজ্জাবতী গাছের মত চুপসে যাবে, হয়তো একটু হাসবে শাড়ির আঁচলে মুখ লুকীয়ে, তবুও আজ লিখবো চিঠি তোমায়। তুমি পড়বে আর আতলে হারিয়ে যাবে আমার ভালোবাসার । যাই শুরু করি এখন, কবিতার নাম, তোমার আমার প্রেম -এই বল তো কেমন করে চিঠি লিখতে হয় ?? আমি যে চিঠি লিখিনি কোনদিন তোমায়

Monday, October 7, 2013

আমি খুনি হবো একদিন

~~~~~~~~~তোমাকে খুন করতে ইচ্ছে করে আমার মাঝে মাঝে,
আমি তো খুন করবোই হয় আজ, নয়তো কাল,
তবে খুন আমি করবোই ।
ভালোবাসার একটা বিষ মাখা তীর আছে আমার কাছে,
কোন এক পড়ন্ত বিকেলে , গোধূলি লগ্নে
আমি ছুড়ে দিবো সেই তীর তোমাকে লক্ষ্য করে ।
আমার বিষাক্ত তীর তোমার হৃদয় কে
ভেদ করে চলে যাবে তুমি ঢলে পড়বে মৃত্যুর কোলে,
ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাবে তোমার মন।
আমি খুন করবো তোমায়।
সেই মৃত্যু তোমার একবার নয়, আমি চাই
প্রতিটি মুহূর্তে তোমাকে এ মৃত্যু দিতে
ভালোবাসার মৃত্যু তোমার,
আমি বলবো আজ তোমায় চিৎকার করে,
আমি যে তোমায় ভালোবাসি।
আগেও সহস্ত্র বার আমি বলতে গিয়েই বলতে পারিনি তোমায়,
বার বার হেরে গেছি আমি,
নিজের ভয়ের এই দেয়াল ধ্বংস করে আমি বেড়িয়ে আসতে পারিনি,
হ্যাঁ আমি ব্যর্থ ছিলাম,
প্রকাশ করতে পারিনি আমার ভালোবাসা টুকু কিন্তু আজ বলবোই আমি,
আমি যে খুনি হতে চাই।
চোখ চোখ রেখে হড়হড় করে বলে দেবো আজ,
একবার নয় বিশ্ব বাসী সবাই কে কর্ণপাত করাবো আমার ভালোবাসা,
আমি যে বলবোই তোমায় আজ।
নাহ থাক, আজ তো পড়ন্ত বিকেল নেই , গোধূলি লগ্নও শেষ,
অন্য একদিন না হয় বলবো , সেদিন না হয় খুন করবো।
তবে খুন আমি করবোই তোমায়~~~~~~~~~
 

যতটুকু নিঃস্ব হলে কেউ হয় সর্বস্বান্ত
ঠিক ততটুকু নিঃস্ব হয়েছি!
যতটুকু কষ্ট পেলে কেউ হয় বাকরুদ্ধ
ঠিক ততটুকু কষ্ট পেয়েছি!
যতটুকু আঘাতে কেউ হয়ে যায় চূর্ণবিচূর্ণ
ঠিক ততটুকু আঘাত পেয়েছি!
যতটুকু দুঃখের উপরে আর দুঃখ হয় না
ঠিক ততটুকু দুঃখ পেয়েছি!
যতটুকু নিস্তব্ধ হলে কেউ হয়ে যায় একেবারে নিশ্চুপ
ঠিক ততটুকু নিস্তব্ধ হয়েছি!
যতটুকু ক্ষত হৃদয়ে জমা হলে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ
ঠিক ততটুকু ক্ষত পেয়েছি!
যতটুকু ব্যাথায় এ দেহ কঠিন মৃত্তিকায় মিশে যেতে চায় চিরতরে
ঠিক ততটুকু ব্যাথা পেয়েছি!
যতটুকু আঁধার এলে জীবন হয়ে যায় পুরোপুরি অন্ধকার
ঠিক ততটুকু আঁধার পেয়েছি!
যতটুকু হারালে আর থাকে না হারবার ভয়
ঠিক ততটুকু হেরে গিয়েছি!
যতটুকু ভেঙ্গে গেলে আর থাকে না উঠে দাঁড়াবার শক্তি
ঠিক ততটুকু ভেঙ্গে গিয়েছি!
যতটুকু মরে গেলে হৃদয় শুধু অবশিষ্ট রাখে দেহের মরণ
ঠিক ততটুকু মরে গিয়েছি!

Saturday, September 28, 2013

হৃদয় বিদারক একটি কাহিনী আশা করি সবাই পড়বেন


মেয়েঃ জান, আমি তোমার সাথে একটু পর দেখা করব । i miss you
ছেলেঃ আচ্ছা । আমি একটু drinks টা শেষ করে নি । তারপর দেখা করতে আসো
মেয়েঃ তুমি আবারো ড্রিঙ্কস করতেছ ?
ছেলেঃ কিছু হবে না । আমি তোমার জন্যে অপেক্ষা করতেছি ।
মেয়েঃ আচ্ছা ।
এক ঘণ্টা চলে গেল , ছেলেটির অনেক বন্ধু আসলো এবং তারা বহলড়ু করতে লাগলো । কিন্তু তারা সময়ের কথা ভুলে গেল সবাই। ছেলেটি তার ফোন এর দিকে তাকাল এবংদেখল৪ টা এসএমএসএবং ১০ টা মিসড কল । সে তার ফোনটি অফ করে দিল এবং ব্যাটারি খুলে ড্রেন এ ফেলে দিল ।
তারপর ছেলেটি বাসায় আসলো এবং তার ভাইয়া তাকে দরজার সামনে বসেই তাকে জিজ্ঞাস করতে লাগলো " কেউ কি তোমায় একটু আগে কল করেছিল, তোমার গার্লফ্রেন্ড এর ব্যাগ কারা যেন ছিনতাই করতে চেয়েছিল, এবং তারা না ছিনতাই করতে পেরে তাকে গুলিকরে মেরে ফেলেছে " ছেলেটি তার ভাইকে বলল, " তুমি এই রাতের বেলা ঠাট্টা মশকরা করোনা ভাইয়া " একটু পর তার ভাই মেয়েটির মোবাইল ওপেনকরে তাকে তার পাঠানো এসএমএস গুল দেখায় রাত ১১.০০
জান, তুমি কোথায় ?রাত ১১.৩৫
জান, তোমার ফোন অফ পাচ্ছি কেন ?
রাত ১১.৪৫
জান, কিছু লোক আমাকে ফলো করতেছে , প্লিস তোমার মোবাইল টা ওপেন কর
রাত ১২.০০
happy Anniversary জান, আমি তোমাকে ভালবাসি । আমি তোমাকে তোমার কাছে যেয়ে সারপ্রাইসড দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি মনেহয় তোমাকে দেখতে পারবনা ।
good night  জান, আজকের পর থেকে তুমি আর ড্রিঙ্কস করবেনা...♥♥

একটা করুন ছোট্ট প্রেম কাহিনী


একটা ছেলে একটা মেয়েকে মনে মনে ভালবাসত। একটা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে এক সময় মেয়েটিকে নিজের ভালবাসার কথা জানাল। মেয়েটি কিছু না বলে চলে গেল । সে মনে মনে ভাবল দেখি একটু পরীক্ষা করে কেমন এই ভালবাসা। ফল শরুতিতে শুরু হল ছেলেটিকে কষ্ট দেওয়া । কখনো কড়া কথা বলে, কখনো বাজে ব্যবহার করে, কখনো অবহেলা করে, যখন যা ইচ্ছা করে ও শেষ পর্যন্ত দেখল ছেলেটি এখনো তাকেই ভালবাসে । এবার বুঝল, নাহ এই ছেলেটি তাকে আসলেই চায়। কিন্তু এরপরে ও নিজের মনের অজান্তের অহমিকা বোধটা হঠাৎ জেগে উঠে । মনে হয় এমন কত ছেলেই তো আমার জন্য পাগল। কি দরকার ঝামেলা মাথায় নিয়ে। শুধু শুধু একজনের সাথে এনগেইজ হলে বাকিদের মন রাখবে কে?? এদিকে সবার অজান্তে কষ্টে এক প্রকার উম্মাদ হয়ে এক সময় ছেলেটা ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে গেল। এরপরে অনেকদিন কেটে গেল। এর মধ্যে বহুজনের কাছ থেকে পাওয়ার প্রস্তাব যাচাই করে দেখল আসলেই ঐ একজনের সাথে কারোই তুলনা হচ্ছে না। এবার মেয়েটি একটি কাগজে সুন্দর করে লিখল, "কেউ যদি খুব সহজে সত্যিকার ভালবাসা পায় তাহলে সেটা সে মূল্যায়ন করতে পারে না। তোমাকে কষ্ট দিয়ে তাই সেভাবেই তৈরী করে নিলাম। কিন্তু একটা সঠিক সিদ্ধান্ত তো নিতে হবে। আর তাই আজ তোমাকে স্বাগতম জানালাম।" মেয়েটি ছেলেটিকে খুজতে খুজতে ছেলেটির বাসায় গেল। রজায় ধাক্কা দিতেই খুলে গেল। খুব ছিমছাম নীরব ঘর। আস্তে আস্তে ঢুকল। কারো সারা শব্দ নেই। একটু এগিয়ে গিয়ে দেখল টেবিলে মাথা নিচু করে ছেলেটি বসে আছে। খুব দুষ্টু হেসে আস্তে করে পিছন থেকে ছেলেটিকে ধরল। আর কিছু বোঝার আগেই ছেলেটির নিথর দেহটা গড়িয়ে পড়ল মাটিতে। কব্জিতে জমাট বাধা রক্তটা বলে দিচ্ছে ছেলেটি আর নেই । মেয়েটি কি বলবে ভেবে উঠতে পারল না। শুধু দেখল পাশে একটা নীল খাম। খামের ভেতর থেকে একটা কাগজ বের হল। সেখানে লেখা, "কেউ যদি খুব সহজে সত্যিকার ভালবাসা পায় তাহলে সেটা সে মূল্যায়ন করতে পারে না। সহজেই নিজের ভালবাসার কথা বলে তোমার দেওয়া কষ্টে তাই নিজের অজান্তেই ধ্বংস হয়ে গেলাম । কিন্তু একটা সঠিক সিদ্ধান্ত তো নিতে হবে । আর তাই আজ তোমাকে বিদায় জানালাম।

জীবনের শেষ পরাযয়


একটা ছেলে একটা মেয়েক অনেক ভালোবাতো । মেয়েটাও ছেলেটাকে সমান ভালোবাসতো ।
একদিন সেই ছেলেটা মেয়েটাকে চ্যালেঞ্জ করে বসলো। খুব সহজ একটা চ্যালেন্জ, "তুমি যদি আমাকে সত্যিই ভালোবাসো তাহলে তুমি আমার সাথে একটা সম্পূর্ণ দিন কোনরকম যোগাযোগ করবে না। যদি তুমি টানা ২৪ ঘন্টা যোগাযোগ না করে থাকতে পারো তাহলে আমি তোমাকে আজীবন ভালোবাসবো।" মেয়েটা রাজি হলো। সে সারা দিন একবারও যোগাযোগ করলো না ছেলেটার সাথে। কোন ফোন-কল বাকোন এস.এম.এস. - কিছুই করলো না। পরদিন মেয়েটা দৌড়ে গেল ছেলেটার বাসায়। মেয়াটা জানতো না যে ছেলেটার ক্যান্সার ছিলো আর তার আয়ু ছিলো মাত্র ২৪ ঘন্টা। মেয়েটার চোখ দিয়ে অঝোর-ধারায় পানি পড়লো যখন সে দেখতে পেলো, ছেলেটা কফিনের শুয়ে আছে আর তার পাশে একটা চিঠি। "You did it baby. Can you do it everyday? I love you."

অনেকদিন পর আজ কল করল


অনেকদিন পর আজ ও কল করল । ভাবছিলাম প্রাণ ভরে কথা বলব । কিন্তু না, তা আর হল না ।
মিনিট পাঁচেকের মত কথা বলার পর ও বলল আচ্ছা রাখি । আমি জোর করে আরও পাঁচ মিনিটের মত কথা বললাম । তারপর ওর কথা বলার অনীহা দেখে ইচ্ছে করেই ফোন রেখে দিলাম । এখন বসে বসে ভাবছি , মানুষ আসলে কত পরিবর্তন হতে পারে । যে তুমি আমার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে, সে তুমি আজ আমার সাথে দিনের পর দিন কথা না বলে থাক । কি করে এটা সম্ভব....!! আসলে এই কর্পোরেট পৃথিবীতে সবই সম্ভব । এখানে সবাই কর্পোরেট । এখানে আবেগের কোন মূল্য নেই । আবেগ সবার কাছে একটা বোঝা ছাড়া আর কিছুই নয় । কর্পোরেট দুনিয়াতে যারা আবেগকে মূল্য দিবে তারাই আমার মত ধুঁকে ধুঁকে পুড়ঁবে । আমি জানি ওকে ছাড়া থাকতে আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে । প্রতিদিন, প্রতিরাত শুধু চোখের জল ঝরছে । ইচ্ছে করছেনা আর বেচেঁ থাকতে । কিন্তু আমি এটাও জানি আমি মরতে পারবনা । হয়ত বা এক সময় আর কাদঁবোওনা ।

Monday, September 23, 2013

আমি তোমাকে ভালোবাসি

এক গুচ্ছ গোলাপ হাতে ধরিয়া ছেলেটা বলল:
আমি তোমাকে ভালোবাসি ।
অপর জনের
চোখে পানি দেখে একটু
মুচকি হেসে ছেলেটা আবার বলল
কই ফুল গুলো দেখি ,,,
আমি আসলে দুষ্টুমি করছিলাম ।
আমি তোমাকে ভালোবাসি না ।
মেয়েটা অবাক ।
বলল : কি বলছো এসব ?
ছেলে : তোমাকে সারাজীবন
ভালোবাসার
কথা না বলে থাকতে পারব ,
কিন্তু তোমার চোখের
পানি আমি সইতে পারব না,,
বলে দিলাম ।
মেয়ে : আমি প্রতিদিন
হাজারটা বার কাঁদতে চাই সুখে,,
তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনে

Wednesday, September 18, 2013

তুমি কোথায় দেখলে কান্না



সে বার যখন বৃষ্টি এসেছিল মুষল ধারায়
আমি বলেছিলাম দেখ আকাশের কান্না,
কতটা কষ্টে আকাশ কাঁদতে পারে তা কি তুমি জানো?
তুমি আমাকে থামিয়ে উচ্চস্বরে হেসে বলেছিলে
তুমি কোথায় দেখলে কান্না? যে বৃষ্টি,
প্রকৃতির এক অপরূপ অনাবিল সৃষ্টি;
বোকা আকাশ কি কখনো কাঁদতে জানে নাকি?
আমি চুপ করে জানালার পাশে দাড়িয়ে ছিলাম
বাহিরে তাকিয়ে বৃষ্টিদেখছিলাম,
কোন উত্তর দিইনি সেদিন তোমার প্রশ্নের...
হয়তো সেদিন কোন উত্তর জানাবার ইচ্ছে ছিলোনা আমার;
কিন্তু আমি জানতাম আকাশেরও কিছু কষ্ট থাকে
থাকে কিছু যন্ত্রণা, ক্ষোভে, গর্জনে উন্মাদ হয়ে
এক সময় অঝোর ধারায় বৃষ্টি হয়ে কাঁদে।

Sunday, September 15, 2013

ব্রেকআপের এক বছর পর

 
ব্রেকআপের এক বছর পর ছেলে মেয়েটিকে ফোন করল ছেলেটির ফোন দেখে মেয়েটি খুব অবাক
হল কেননা এক বছরের মধ্যে ছেলেটি কোন দিন মেয়েটিকে ফোন দেয় নি বরং মেয়েটি ফোন
করলে তাকে যা নয় তা বলে অপমান করত যাই হোক মেয়েটি শেষ পর্যন্ত ফোনটা রিসিভ করল 
ছেলেঃ হ্যালো
মেয়েঃ হা বল কি বলবা কেন ফোন করেছ ?
ছেলেঃ তুমি কেমন আছো জানার জন্য।
মেয়েঃ কেন আমি কেমন আছি তা জেনে তুমি কি করবে ?
 ছেলেঃ বলনা খুব জানতে ইচ্ছা করছে!!
মেয়েঃ কেমন আছি বলতে পারব না তবে এইটুকু বলতে পারি তোমার জন্য এখন আর চোখের জল ঝরে না, মাঝ রাতে তোমার
কথা ভেবে এখন আর ঘুম ভাঙ্গে না, তোমার জন্য বুকের ভিতর সেই চিনচিনে ব্যাথাটা এখন আর
অনুভব করি না, তোমাকে ছাড়া একা একা পথ চলতে এখন আর ভয় লাগে না আর এর নাম যদি হয় ভালো থাকা তবে ভালো আছি তোমাকে ছাড়াই আমি ভাল আছি।
ছেলেঃ ও তাই ঠিক আছে ভালো থেকো।
এই কথা বলে ছেলেটি লাইনটা কেটে দিল।
ছেলেটি লাইন কাটার সাথে সাথে মেয়েটির দুচোখ বেয়ে জল ঝরতে লাগল যা প্রতিরোধ করা গেল না বা প্রতিরোধ করতে চাইল না সে।
মেয়েটি তখন মনে মনে বলল তুমি এখনও আগের
মতই আছো আগে যেমন আমার মুখের কথা বিশ্বাস করতে আমার মনের কথা বুজতে না ঠিক এখন তুমি আমার মুখের কথাই
বিশ্বাস করলে একটি বারও
বুঝতে পারলে না আমার মনের কথা!!
আমি ভালো নেই তোমাকে ছাড়া আমি ভালো থাকতে পারি না, কারন তুমিই হলে আমার ভালো থাকার মাধ্যম।

Thursday, September 12, 2013

বোঝার চেষ্টা করেনি

 
তুমি সেই মানুষটার জন্যে কাঁদ
যে তোমার বাইরের চেহারারাটা দেখেছে…
তোমার শরীরের অভ্যন্তরের কোমল মনটা
বোঝার চেষ্টা করেনি…
তুমি তার জন্যে কাঁদ
যে তোমায় কাঁদিয়ে হাসে…
তোমাকে বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে ব্যাবহার করে…
পরে ছুড়ে ফেলে দেয়|
তাহলে তুমি সত্যিই বোকা…
চোখের জলগুলো এভাবে অপচয় করোনা…
ওগুলো জমিয়ে রাখ|
পরে যদি সত্যিই কেউ তোমাকে ভালবাসে
তাকে হারিয়ে ফেললে এই জলগুলো কাজে লাগবে

বোঝার চেষ্টা করেনি

 
তুমি সেই মানুষটার জন্যে কাঁদ
যে তোমার বাইরের চেহারারাটা দেখেছে…
তোমার শরীরের অভ্যন্তরের কোমল মনটা
বোঝার চেষ্টা করেনি…
তুমি তার জন্যে কাঁদ
যে তোমায় কাঁদিয়ে হাসে…
তোমাকে বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে ব্যাবহার করে…
পরে ছুড়ে ফেলে দেয়|
তাহলে তুমি সত্যিই বোকা…
চোখের জলগুলো এভাবে অপচয় করোনা…
ওগুলো জমিয়ে রাখ|
পরে যদি সত্যিই কেউ তোমাকে ভালবাসে
তাকে হারিয়ে ফেললে এই জলগুলো কাজে লাগবে