২০০৮ সালের জুন মাসের কোন এক রাত ২টা। মোবাইলে মিসকল। পরে ফোন ব্যাক। এরপর পরিচয়, ঘনিষ্টতা। এভাবে গড়ে উঠে পলাশ আর প্রমির প্রেম। চলে একটানা পাঁচ বছর। এরই মধ্যে দু’জনকে পোহাতে হয়েছে দু’পরিবারের নানা নির্যাতন। এরপরও তাঁদের ভালোবাসায় একটুও চিড় ধরেনি। একচুল দূরে সরাতে পারেনি তাদের কাউকে। চলছে ৫ বছর ধরে লাগাতার প্রেম। পলাশের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের নাথ পাড়ায়। আর প্রমির গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিন চাম্বল নাথায়। পলাশের চেয়ে প্রমির আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় প্রমির পরিবার তাকে মেনে নিচ্ছেনা। পরিবারের চাপে প্রমি পলাশকে বলে, পারিবারিক সমঝোতায় ও সামাজিকভাবে বিয়ে করতে হলে তাকে বড় লোক হতে হবে। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। না হলে তাকে পাওয়া যাবেনা। প্রেমিকার কথা মতো চেষ্টাও কম করেনি পলাশ। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন জায়গায় চাকুরি করেও নিজের কপাল খুলতে পারেনি সে। আগেরই পলাশই রয়ে গেছে। আগামী ১৩অক্টোবর প্রমির বিয়ের দিন ধার্য হয়েছে। তাকে তুলে দেয়া হবে অন্যের হাতে। এটি সহজেই মেনে নিতে পারছেনা পলাশ। সিদ্ধান্ত নিয়েছে পলাশ তার একটি কিড়নি বিক্রি করে হলেও ক্ষনিকের জন্য বড় লোক হয়ে তার প্রেমিকাকে বিয়ে করবে। পলাশ জানান, রোববারের মধ্যে কিডনি বিক্রি করতে না পারলে তার বড় লোক হওয়ার স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে। না হলে ওইদিন তার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
No comments:
Post a Comment