Saturday, October 12, 2013

আমি অন্ধ

 একবার প্রেমিক প্রেমিকা বিয়ে করবে বলে ঠিক করলো, বিয়ের কয়েক মাস আগে মেয়েটির এক্সিডেন্ট হল আর তাঁর চেহারা পুরোপুরিনষ্ট হয়ে গেল! এর পর মেয়েটি ছেলেটিকে লিখল আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা, কারন আমি সারাজীবন এমন কুৎসিতথেকে যাব, তুমি তোমার জন্য সুন্দরি কোন মেয়ে খুজে বের কর কারন আমি তোমার যোগ্য না ! এরপর সে তাঁর প্রেমিক এর কাছ থেকে উত্তর পেল "যাই হোক আমার নিজের ও একটা সমস্যা হয়েছে আমার চোখে সমস্যা হয়েছে ডাক্তার বলেছে আমি অন্ধ হয়ে থাকব এর পরেও যদি তুমিআমাকে গ্রহন করতে পারো তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করব! এভাবেই তারা বিয়ে করে আর ভালোবাসা বোঝা পড়া আর আনন্দে ২০ বছর পার করে দেয় মেয়েটি অন্ধ স্বামীর চোখের আলো আর পথ প্রদর্শক হয়ে থাকে ! এরপর একদিন মেয়েটিট মৃত্যু সজ্জাতে চলে যায় কিন্তু মন খারাপ করে ফেলে যে সে তাঁর প্রিয়তমকে আবার অন্ধ অবস্থায় ফেলে যাবে !! শেষ পর্যন্ত সে মারা যায়! যেদিন সে মারা যায় সেদিনই তাঁর স্বামী সবাই কে অবাক করে দিয়ে চোখ খোলে! সে বলে " আমি অন্ধ ছিলাম না,আমি ভান করতাম যে আমি অন্ধ কারন সে যাতে তাঁর অসুন্দর চেহারার জন্য নিজেকে কখনো ছোট মনে করতে না পারে কারন আমার ভালোবাসা তাঁর চেহারার প্রতি ছিলনা, ছিল তাকে ঘিরেই"

Thursday, October 10, 2013

প্রেমিকার জন্য কিডনি বিক্রি

২০০৮ সালের জুন মাসের কোন এক রাত ২টা। মোবাইলে মিসকল। পরে ফোন ব্যাক। এরপর পরিচয়, ঘনিষ্টতা। এভাবে গড়ে উঠে পলাশ আর প্রমির প্রেম। চলে একটানা পাঁচ বছর। এরই মধ্যে দু’জনকে পোহাতে হয়েছে দু’পরিবারের নানা নির্যাতন। এরপরও তাঁদের ভালোবাসায় একটুও চিড় ধরেনি। একচুল দূরে সরাতে পারেনি তাদের কাউকে। চলছে ৫ বছর ধরে লাগাতার প্রেম। পলাশের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের নাথ পাড়ায়। আর প্রমির গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিন চাম্বল নাথায়। পলাশের চেয়ে প্রমির আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় প্রমির পরিবার তাকে মেনে নিচ্ছেনা। পরিবারের চাপে প্রমি পলাশকে বলে, পারিবারিক সমঝোতায় ও সামাজিকভাবে বিয়ে করতে হলে তাকে বড় লোক হতে হবে। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। না হলে তাকে পাওয়া যাবেনা। প্রেমিকার কথা মতো চেষ্টাও কম করেনি পলাশ। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন জায়গায় চাকুরি করেও নিজের কপাল খুলতে পারেনি সে। আগেরই পলাশই রয়ে গেছে। আগামী ১৩অক্টোবর প্রমির বিয়ের দিন ধার্য হয়েছে। তাকে তুলে দেয়া হবে অন্যের হাতে। এটি সহজেই মেনে নিতে পারছেনা পলাশ। সিদ্ধান্ত নিয়েছে পলাশ তার একটি কিড়নি বিক্রি করে হলেও ক্ষনিকের জন্য বড় লোক হয়ে তার প্রেমিকাকে বিয়ে করবে। পলাশ জানান, রোববারের মধ্যে কিডনি বিক্রি করতে না পারলে তার বড় লোক হওয়ার স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে। না হলে ওইদিন তার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

চাঁদ ও আমি


ভাবছি একটা চাঁদ কিনবো আমি, আমি আগেও চাঁদ কিনেছিলাম তুমি চলে যাওয়ার সময়, ভুল করে আমার চাঁদ টা নিয়ে গেছ তোমার সাথে করে। কি মনে নেই তোমার?? হয়তো তুমি এতদিনে চাঁদের আলোয় স্নান করে চাঁদ কে আলো শূন্য করে দিয়েছ। তাই আবার একটা চাঁদ কিনবো। আচ্ছা এখনো কি নতুন চাঁদ আগের মত আলো দেয়? আমি তো কতদিন চাঁদ দেখি না, সেই যে তোমায় নিয়ে শেষ কবে চাঁদ দেখেছিলাম দিনক্ষণ ভুলে গেছি। তাই আবার একটা চাঁদ কিনবো। চাঁদের জোছনায় নিজেকে ভাসিয়ে দেয়া সে তো তুমি জানোই আমায় উন্মাদ করে দেয়। এবারের চাঁদ আমি কেউ কে দিবো না। হ্যাঁ তুমি যদি আসো তোমাকেও দিবো না আমি, এই চাঁদ আমি আমার কাছে রেখে দেবো। যখন আমার মনের আকাশে আমাবস্যার অন্ধকার হবে? আমি বলবো এ চাঁদ একটু জোছনা দাও না আমায়  আমার আকাশ টা একটু রাঙ্গিয়ে দাও না তুমি। আমি দেখবো আমার চাঁদ আমায় আলো দিচ্ছে। আমি জোছনার আলোতে মনের সুখে গাইবো গান , লিখবো কবিতা। তাই এ চাঁদ আমি কাউ কে দিবো না। যদি কোনদিন তোমার ইচ্ছে হয়, তুমি এসো আমার আকাশের নিচে কোন এক জোছনা ভরা রাতে। আমি জোছনা দেবো তোমায়। কিন্তু আমার চাঁদ নয় । কারণ আমি যে আবার আমার আকাশ কে শূন্য করবো না, তাই এ চাঁদ আমি কাউ কে দিবো না ।

নিরবে হারিয়ে যাওয়া


একদিন একটা ছেলে আর একটা মেয়ে তাদের কলেজ বাসের জন্যে অপেক্ষা করছে মেয়েঃ আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই। ছেলেঃ আমিও। মেয়েঃ আচ্ছা। তুমি বল আগে তোমারটাই শুনি। ছেলেঃ না তুমি কারণ তুমি আগে বলতে চেয়েছো। মেয়েঃ না। তুমি বল। ছেলেঃ না। তুমি এভাবে তারা লড়াই করেই যাচ্ছে। হাটাৎ করে তাদের বাস চলে এল । মেয়েটা মেয়েদের বাসে উঠে গেল আর ছেলেটা ছেলেদের বাসে। বলা হল নাতাদের সেই কথাটা পরের দিন । ছেলেটা মেয়েটাকে কফি খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। মেয়েটাও রাজি হয়। কফিহাঊজে ছেলে আর মেয়েটি ...ছেলেঃ আমি কি তোমাকে কিছু বলতে পারি? মেয়েঃ অবশ্যই। ছেলেটি খুব ঘাভ্রিয়ে গিয়েছিল। ভয়ে বলল। ছেলেঃ না তেমন কিছু না। তোমার জামাটা খুব সুন্দর। মেয়েঃ তাই? ধন্যবাদ ছেলেটি বারবারই মেয়েটির দিকে তাকাচ্ছিল। মেয়েটি ছেলেতিকে জিজ্ঞেস করল। মেয়েঃ আচ্ছা সত্যি করে বলতো। তুমি নিশ্চয় কিছু লুকাচ্ছ? ছেলেটি এবার সাহস করে তার ভালবাসার কথা বলার জন্যে মনস্থির করল। ছেলেঃ মানে। আমি তোমাকে বলতে চাচ্ছিলাম যে... মেয়েটির ফোনে রিং বাজছে। মেয়েঃ ওহ সরি । আর সময় দিতে পারছি না। বাসা থেকে ফোন করেছে। পরে কথা হবে । এই বলে মেয়েটির প্রস্থান। বলা হল না ছেলেটির সেই কথা পরের দিন কলেজে দেখা হলে। ছেলেটি মেয়েটিকে মুক্ত পরিবেশ ঘিরা এমন একটা জায়গায় এক সাথে ঘোরার প্রস্তাব দেয়। মেয়েটিও রাজি হয় । পর দিন...... ছেলেটি মেয়েটীর জন্য অটো নিয়ে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আসছে না। মেয়েটি ছাত্রী হোস্টেলে থাকতো। ছেলেটি হটাৎ দেখতে পেল মেয়েটির বান্ধবী তার দিকে এগিয়ে এল এবং একটা চিঠিদিয়ে বলে, মেয়েটির বাবা অসুস্থ তাই সে বাড়িতে চলে গেছে। সুযোগ পায় নি জানিয়ে যেতে । শুধু এই চিঠি। চিঠিতে লিখ ছিল এইরুপ। মেয়েঃ আচ্ছা তুমি কি পুরুষ ? বুকে সাহস নেই? আমি তোমাকে ভালবাসি। এই কথাটা বলতে পার না। ভয় পাওয়ার কি আছে। আমার চোখ দেখে বুঝ না আমি তোমাকে কতোটা ভালবাসি। আনন্দে ছেলেটির চোখে পানি এসে গেল পর দিন......পত্রিকার নিউজ। গত রাতে ঢাকা গামি একটি বাস খাদে পরে গিয়ে গিয়েছে। অনেক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ছেলেটির ফোন বাজছে । ছেলেটির বন্ধুঃ ঐ তুই জলদি রাজশাহী মেডিকেল হসপিটালে আয়। ছেলেঃ কেনো? ছেলেটির বন্ধুঃ আরে মিমি ইক্সিডেন্ড করেছে । ছেলেটির মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গেপরল। ছুঠে গেল সিলেট। মেয়েটি বেড এ শুয় ছিল। অক্সিজেন দেওয়া অবস্থায়। ছেলেটি মেয়েটির পাশে বসলো । মেয়েটি ছেলেটির হাত ধরল আর আস্তে আস্তে মেয়েটি নিরবে ঘুমিয়ে পরল। ঐ রুম থেকে শুধু বেরিয়ে আসছিল ছেলেটির হাহাকার....

Tuesday, October 8, 2013

তোমার আমার প্রেম


আজ ইচ্ছে হচ্ছে দিস্তা দিস্তা কাগজ নিয়ে তোমায় একটা প্রেমের চিঠি লিখবো, ইচ্ছে হচ্ছে কবিবরদের মত করেই মনের ভাব প্রকাশ করবো এই কাগজে। তুমি পড়বে আর আতলে হারিয়ে যাবে আমার ভালোবাসার। আগে কখনো লিখিনি তোমায় প্রেমের চিঠি, তবে আজ লিখবোই আমি একটি প্রেমের চিঠি। আমার অনেক দিনের ইচ্ছে, তোমার আমার প্রেম কাহিনী আমি এমন করেই লিখবো কোন একদিন, হোক না সেটা আজেই, ক্ষতি কি। আজ আমি লিখে দিতে চাই আমাদের স্বপ্ন গুলো, আমার প্রাণ ছোঁয়া তোমার হাসির কথা তো থাকবেই, চিঠি তে থাকবে তোমার লজ্জা মাখা মুখ। আর থাকবে আমার ছোট ছোট দুষ্টামি, এই যাহ্ কি বলছি আমি পাগলের মত, নাহ ঐ গুলো কিছুই লিখবো না। শুধু লিখে যাবো হৃদয়ের কিছু লুকায়িত কথা। আমি লিখবো অন্তরের অন্তরে যে কথা গুলো জমে আছে সে কথা। তুমি পড়বে আর আতলে হারিয়ে যাবে আমার ভালোবাসার।যাই হোক আগে লিখি, তুমিই তো পড়বে, অন্য কেউ তো নয়। জানি তুমি একটা লজ্জাবতী গাছের মত চুপসে যাবে, হয়তো একটু হাসবে শাড়ির আঁচলে মুখ লুকীয়ে, তবুও আজ লিখবো চিঠি তোমায়। তুমি পড়বে আর আতলে হারিয়ে যাবে আমার ভালোবাসার । যাই শুরু করি এখন, কবিতার নাম, তোমার আমার প্রেম -এই বল তো কেমন করে চিঠি লিখতে হয় ?? আমি যে চিঠি লিখিনি কোনদিন তোমায়

Monday, October 7, 2013

আমি খুনি হবো একদিন

~~~~~~~~~তোমাকে খুন করতে ইচ্ছে করে আমার মাঝে মাঝে,
আমি তো খুন করবোই হয় আজ, নয়তো কাল,
তবে খুন আমি করবোই ।
ভালোবাসার একটা বিষ মাখা তীর আছে আমার কাছে,
কোন এক পড়ন্ত বিকেলে , গোধূলি লগ্নে
আমি ছুড়ে দিবো সেই তীর তোমাকে লক্ষ্য করে ।
আমার বিষাক্ত তীর তোমার হৃদয় কে
ভেদ করে চলে যাবে তুমি ঢলে পড়বে মৃত্যুর কোলে,
ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাবে তোমার মন।
আমি খুন করবো তোমায়।
সেই মৃত্যু তোমার একবার নয়, আমি চাই
প্রতিটি মুহূর্তে তোমাকে এ মৃত্যু দিতে
ভালোবাসার মৃত্যু তোমার,
আমি বলবো আজ তোমায় চিৎকার করে,
আমি যে তোমায় ভালোবাসি।
আগেও সহস্ত্র বার আমি বলতে গিয়েই বলতে পারিনি তোমায়,
বার বার হেরে গেছি আমি,
নিজের ভয়ের এই দেয়াল ধ্বংস করে আমি বেড়িয়ে আসতে পারিনি,
হ্যাঁ আমি ব্যর্থ ছিলাম,
প্রকাশ করতে পারিনি আমার ভালোবাসা টুকু কিন্তু আজ বলবোই আমি,
আমি যে খুনি হতে চাই।
চোখ চোখ রেখে হড়হড় করে বলে দেবো আজ,
একবার নয় বিশ্ব বাসী সবাই কে কর্ণপাত করাবো আমার ভালোবাসা,
আমি যে বলবোই তোমায় আজ।
নাহ থাক, আজ তো পড়ন্ত বিকেল নেই , গোধূলি লগ্নও শেষ,
অন্য একদিন না হয় বলবো , সেদিন না হয় খুন করবো।
তবে খুন আমি করবোই তোমায়~~~~~~~~~
 

যতটুকু নিঃস্ব হলে কেউ হয় সর্বস্বান্ত
ঠিক ততটুকু নিঃস্ব হয়েছি!
যতটুকু কষ্ট পেলে কেউ হয় বাকরুদ্ধ
ঠিক ততটুকু কষ্ট পেয়েছি!
যতটুকু আঘাতে কেউ হয়ে যায় চূর্ণবিচূর্ণ
ঠিক ততটুকু আঘাত পেয়েছি!
যতটুকু দুঃখের উপরে আর দুঃখ হয় না
ঠিক ততটুকু দুঃখ পেয়েছি!
যতটুকু নিস্তব্ধ হলে কেউ হয়ে যায় একেবারে নিশ্চুপ
ঠিক ততটুকু নিস্তব্ধ হয়েছি!
যতটুকু ক্ষত হৃদয়ে জমা হলে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ
ঠিক ততটুকু ক্ষত পেয়েছি!
যতটুকু ব্যাথায় এ দেহ কঠিন মৃত্তিকায় মিশে যেতে চায় চিরতরে
ঠিক ততটুকু ব্যাথা পেয়েছি!
যতটুকু আঁধার এলে জীবন হয়ে যায় পুরোপুরি অন্ধকার
ঠিক ততটুকু আঁধার পেয়েছি!
যতটুকু হারালে আর থাকে না হারবার ভয়
ঠিক ততটুকু হেরে গিয়েছি!
যতটুকু ভেঙ্গে গেলে আর থাকে না উঠে দাঁড়াবার শক্তি
ঠিক ততটুকু ভেঙ্গে গিয়েছি!
যতটুকু মরে গেলে হৃদয় শুধু অবশিষ্ট রাখে দেহের মরণ
ঠিক ততটুকু মরে গিয়েছি!