Saturday, September 28, 2013

হৃদয় বিদারক একটি কাহিনী আশা করি সবাই পড়বেন


মেয়েঃ জান, আমি তোমার সাথে একটু পর দেখা করব । i miss you
ছেলেঃ আচ্ছা । আমি একটু drinks টা শেষ করে নি । তারপর দেখা করতে আসো
মেয়েঃ তুমি আবারো ড্রিঙ্কস করতেছ ?
ছেলেঃ কিছু হবে না । আমি তোমার জন্যে অপেক্ষা করতেছি ।
মেয়েঃ আচ্ছা ।
এক ঘণ্টা চলে গেল , ছেলেটির অনেক বন্ধু আসলো এবং তারা বহলড়ু করতে লাগলো । কিন্তু তারা সময়ের কথা ভুলে গেল সবাই। ছেলেটি তার ফোন এর দিকে তাকাল এবংদেখল৪ টা এসএমএসএবং ১০ টা মিসড কল । সে তার ফোনটি অফ করে দিল এবং ব্যাটারি খুলে ড্রেন এ ফেলে দিল ।
তারপর ছেলেটি বাসায় আসলো এবং তার ভাইয়া তাকে দরজার সামনে বসেই তাকে জিজ্ঞাস করতে লাগলো " কেউ কি তোমায় একটু আগে কল করেছিল, তোমার গার্লফ্রেন্ড এর ব্যাগ কারা যেন ছিনতাই করতে চেয়েছিল, এবং তারা না ছিনতাই করতে পেরে তাকে গুলিকরে মেরে ফেলেছে " ছেলেটি তার ভাইকে বলল, " তুমি এই রাতের বেলা ঠাট্টা মশকরা করোনা ভাইয়া " একটু পর তার ভাই মেয়েটির মোবাইল ওপেনকরে তাকে তার পাঠানো এসএমএস গুল দেখায় রাত ১১.০০
জান, তুমি কোথায় ?রাত ১১.৩৫
জান, তোমার ফোন অফ পাচ্ছি কেন ?
রাত ১১.৪৫
জান, কিছু লোক আমাকে ফলো করতেছে , প্লিস তোমার মোবাইল টা ওপেন কর
রাত ১২.০০
happy Anniversary জান, আমি তোমাকে ভালবাসি । আমি তোমাকে তোমার কাছে যেয়ে সারপ্রাইসড দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি মনেহয় তোমাকে দেখতে পারবনা ।
good night  জান, আজকের পর থেকে তুমি আর ড্রিঙ্কস করবেনা...♥♥

একটা করুন ছোট্ট প্রেম কাহিনী


একটা ছেলে একটা মেয়েকে মনে মনে ভালবাসত। একটা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে এক সময় মেয়েটিকে নিজের ভালবাসার কথা জানাল। মেয়েটি কিছু না বলে চলে গেল । সে মনে মনে ভাবল দেখি একটু পরীক্ষা করে কেমন এই ভালবাসা। ফল শরুতিতে শুরু হল ছেলেটিকে কষ্ট দেওয়া । কখনো কড়া কথা বলে, কখনো বাজে ব্যবহার করে, কখনো অবহেলা করে, যখন যা ইচ্ছা করে ও শেষ পর্যন্ত দেখল ছেলেটি এখনো তাকেই ভালবাসে । এবার বুঝল, নাহ এই ছেলেটি তাকে আসলেই চায়। কিন্তু এরপরে ও নিজের মনের অজান্তের অহমিকা বোধটা হঠাৎ জেগে উঠে । মনে হয় এমন কত ছেলেই তো আমার জন্য পাগল। কি দরকার ঝামেলা মাথায় নিয়ে। শুধু শুধু একজনের সাথে এনগেইজ হলে বাকিদের মন রাখবে কে?? এদিকে সবার অজান্তে কষ্টে এক প্রকার উম্মাদ হয়ে এক সময় ছেলেটা ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে গেল। এরপরে অনেকদিন কেটে গেল। এর মধ্যে বহুজনের কাছ থেকে পাওয়ার প্রস্তাব যাচাই করে দেখল আসলেই ঐ একজনের সাথে কারোই তুলনা হচ্ছে না। এবার মেয়েটি একটি কাগজে সুন্দর করে লিখল, "কেউ যদি খুব সহজে সত্যিকার ভালবাসা পায় তাহলে সেটা সে মূল্যায়ন করতে পারে না। তোমাকে কষ্ট দিয়ে তাই সেভাবেই তৈরী করে নিলাম। কিন্তু একটা সঠিক সিদ্ধান্ত তো নিতে হবে। আর তাই আজ তোমাকে স্বাগতম জানালাম।" মেয়েটি ছেলেটিকে খুজতে খুজতে ছেলেটির বাসায় গেল। রজায় ধাক্কা দিতেই খুলে গেল। খুব ছিমছাম নীরব ঘর। আস্তে আস্তে ঢুকল। কারো সারা শব্দ নেই। একটু এগিয়ে গিয়ে দেখল টেবিলে মাথা নিচু করে ছেলেটি বসে আছে। খুব দুষ্টু হেসে আস্তে করে পিছন থেকে ছেলেটিকে ধরল। আর কিছু বোঝার আগেই ছেলেটির নিথর দেহটা গড়িয়ে পড়ল মাটিতে। কব্জিতে জমাট বাধা রক্তটা বলে দিচ্ছে ছেলেটি আর নেই । মেয়েটি কি বলবে ভেবে উঠতে পারল না। শুধু দেখল পাশে একটা নীল খাম। খামের ভেতর থেকে একটা কাগজ বের হল। সেখানে লেখা, "কেউ যদি খুব সহজে সত্যিকার ভালবাসা পায় তাহলে সেটা সে মূল্যায়ন করতে পারে না। সহজেই নিজের ভালবাসার কথা বলে তোমার দেওয়া কষ্টে তাই নিজের অজান্তেই ধ্বংস হয়ে গেলাম । কিন্তু একটা সঠিক সিদ্ধান্ত তো নিতে হবে । আর তাই আজ তোমাকে বিদায় জানালাম।

জীবনের শেষ পরাযয়


একটা ছেলে একটা মেয়েক অনেক ভালোবাতো । মেয়েটাও ছেলেটাকে সমান ভালোবাসতো ।
একদিন সেই ছেলেটা মেয়েটাকে চ্যালেঞ্জ করে বসলো। খুব সহজ একটা চ্যালেন্জ, "তুমি যদি আমাকে সত্যিই ভালোবাসো তাহলে তুমি আমার সাথে একটা সম্পূর্ণ দিন কোনরকম যোগাযোগ করবে না। যদি তুমি টানা ২৪ ঘন্টা যোগাযোগ না করে থাকতে পারো তাহলে আমি তোমাকে আজীবন ভালোবাসবো।" মেয়েটা রাজি হলো। সে সারা দিন একবারও যোগাযোগ করলো না ছেলেটার সাথে। কোন ফোন-কল বাকোন এস.এম.এস. - কিছুই করলো না। পরদিন মেয়েটা দৌড়ে গেল ছেলেটার বাসায়। মেয়াটা জানতো না যে ছেলেটার ক্যান্সার ছিলো আর তার আয়ু ছিলো মাত্র ২৪ ঘন্টা। মেয়েটার চোখ দিয়ে অঝোর-ধারায় পানি পড়লো যখন সে দেখতে পেলো, ছেলেটা কফিনের শুয়ে আছে আর তার পাশে একটা চিঠি। "You did it baby. Can you do it everyday? I love you."

অনেকদিন পর আজ কল করল


অনেকদিন পর আজ ও কল করল । ভাবছিলাম প্রাণ ভরে কথা বলব । কিন্তু না, তা আর হল না ।
মিনিট পাঁচেকের মত কথা বলার পর ও বলল আচ্ছা রাখি । আমি জোর করে আরও পাঁচ মিনিটের মত কথা বললাম । তারপর ওর কথা বলার অনীহা দেখে ইচ্ছে করেই ফোন রেখে দিলাম । এখন বসে বসে ভাবছি , মানুষ আসলে কত পরিবর্তন হতে পারে । যে তুমি আমার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে, সে তুমি আজ আমার সাথে দিনের পর দিন কথা না বলে থাক । কি করে এটা সম্ভব....!! আসলে এই কর্পোরেট পৃথিবীতে সবই সম্ভব । এখানে সবাই কর্পোরেট । এখানে আবেগের কোন মূল্য নেই । আবেগ সবার কাছে একটা বোঝা ছাড়া আর কিছুই নয় । কর্পোরেট দুনিয়াতে যারা আবেগকে মূল্য দিবে তারাই আমার মত ধুঁকে ধুঁকে পুড়ঁবে । আমি জানি ওকে ছাড়া থাকতে আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে । প্রতিদিন, প্রতিরাত শুধু চোখের জল ঝরছে । ইচ্ছে করছেনা আর বেচেঁ থাকতে । কিন্তু আমি এটাও জানি আমি মরতে পারবনা । হয়ত বা এক সময় আর কাদঁবোওনা ।

Monday, September 23, 2013

আমি তোমাকে ভালোবাসি

এক গুচ্ছ গোলাপ হাতে ধরিয়া ছেলেটা বলল:
আমি তোমাকে ভালোবাসি ।
অপর জনের
চোখে পানি দেখে একটু
মুচকি হেসে ছেলেটা আবার বলল
কই ফুল গুলো দেখি ,,,
আমি আসলে দুষ্টুমি করছিলাম ।
আমি তোমাকে ভালোবাসি না ।
মেয়েটা অবাক ।
বলল : কি বলছো এসব ?
ছেলে : তোমাকে সারাজীবন
ভালোবাসার
কথা না বলে থাকতে পারব ,
কিন্তু তোমার চোখের
পানি আমি সইতে পারব না,,
বলে দিলাম ।
মেয়ে : আমি প্রতিদিন
হাজারটা বার কাঁদতে চাই সুখে,,
তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনে

Wednesday, September 18, 2013

তুমি কোথায় দেখলে কান্না



সে বার যখন বৃষ্টি এসেছিল মুষল ধারায়
আমি বলেছিলাম দেখ আকাশের কান্না,
কতটা কষ্টে আকাশ কাঁদতে পারে তা কি তুমি জানো?
তুমি আমাকে থামিয়ে উচ্চস্বরে হেসে বলেছিলে
তুমি কোথায় দেখলে কান্না? যে বৃষ্টি,
প্রকৃতির এক অপরূপ অনাবিল সৃষ্টি;
বোকা আকাশ কি কখনো কাঁদতে জানে নাকি?
আমি চুপ করে জানালার পাশে দাড়িয়ে ছিলাম
বাহিরে তাকিয়ে বৃষ্টিদেখছিলাম,
কোন উত্তর দিইনি সেদিন তোমার প্রশ্নের...
হয়তো সেদিন কোন উত্তর জানাবার ইচ্ছে ছিলোনা আমার;
কিন্তু আমি জানতাম আকাশেরও কিছু কষ্ট থাকে
থাকে কিছু যন্ত্রণা, ক্ষোভে, গর্জনে উন্মাদ হয়ে
এক সময় অঝোর ধারায় বৃষ্টি হয়ে কাঁদে।

Sunday, September 15, 2013

ব্রেকআপের এক বছর পর

 
ব্রেকআপের এক বছর পর ছেলে মেয়েটিকে ফোন করল ছেলেটির ফোন দেখে মেয়েটি খুব অবাক
হল কেননা এক বছরের মধ্যে ছেলেটি কোন দিন মেয়েটিকে ফোন দেয় নি বরং মেয়েটি ফোন
করলে তাকে যা নয় তা বলে অপমান করত যাই হোক মেয়েটি শেষ পর্যন্ত ফোনটা রিসিভ করল 
ছেলেঃ হ্যালো
মেয়েঃ হা বল কি বলবা কেন ফোন করেছ ?
ছেলেঃ তুমি কেমন আছো জানার জন্য।
মেয়েঃ কেন আমি কেমন আছি তা জেনে তুমি কি করবে ?
 ছেলেঃ বলনা খুব জানতে ইচ্ছা করছে!!
মেয়েঃ কেমন আছি বলতে পারব না তবে এইটুকু বলতে পারি তোমার জন্য এখন আর চোখের জল ঝরে না, মাঝ রাতে তোমার
কথা ভেবে এখন আর ঘুম ভাঙ্গে না, তোমার জন্য বুকের ভিতর সেই চিনচিনে ব্যাথাটা এখন আর
অনুভব করি না, তোমাকে ছাড়া একা একা পথ চলতে এখন আর ভয় লাগে না আর এর নাম যদি হয় ভালো থাকা তবে ভালো আছি তোমাকে ছাড়াই আমি ভাল আছি।
ছেলেঃ ও তাই ঠিক আছে ভালো থেকো।
এই কথা বলে ছেলেটি লাইনটা কেটে দিল।
ছেলেটি লাইন কাটার সাথে সাথে মেয়েটির দুচোখ বেয়ে জল ঝরতে লাগল যা প্রতিরোধ করা গেল না বা প্রতিরোধ করতে চাইল না সে।
মেয়েটি তখন মনে মনে বলল তুমি এখনও আগের
মতই আছো আগে যেমন আমার মুখের কথা বিশ্বাস করতে আমার মনের কথা বুজতে না ঠিক এখন তুমি আমার মুখের কথাই
বিশ্বাস করলে একটি বারও
বুঝতে পারলে না আমার মনের কথা!!
আমি ভালো নেই তোমাকে ছাড়া আমি ভালো থাকতে পারি না, কারন তুমিই হলে আমার ভালো থাকার মাধ্যম।

Thursday, September 12, 2013

বোঝার চেষ্টা করেনি

 
তুমি সেই মানুষটার জন্যে কাঁদ
যে তোমার বাইরের চেহারারাটা দেখেছে…
তোমার শরীরের অভ্যন্তরের কোমল মনটা
বোঝার চেষ্টা করেনি…
তুমি তার জন্যে কাঁদ
যে তোমায় কাঁদিয়ে হাসে…
তোমাকে বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে ব্যাবহার করে…
পরে ছুড়ে ফেলে দেয়|
তাহলে তুমি সত্যিই বোকা…
চোখের জলগুলো এভাবে অপচয় করোনা…
ওগুলো জমিয়ে রাখ|
পরে যদি সত্যিই কেউ তোমাকে ভালবাসে
তাকে হারিয়ে ফেললে এই জলগুলো কাজে লাগবে

বোঝার চেষ্টা করেনি

 
তুমি সেই মানুষটার জন্যে কাঁদ
যে তোমার বাইরের চেহারারাটা দেখেছে…
তোমার শরীরের অভ্যন্তরের কোমল মনটা
বোঝার চেষ্টা করেনি…
তুমি তার জন্যে কাঁদ
যে তোমায় কাঁদিয়ে হাসে…
তোমাকে বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে ব্যাবহার করে…
পরে ছুড়ে ফেলে দেয়|
তাহলে তুমি সত্যিই বোকা…
চোখের জলগুলো এভাবে অপচয় করোনা…
ওগুলো জমিয়ে রাখ|
পরে যদি সত্যিই কেউ তোমাকে ভালবাসে
তাকে হারিয়ে ফেললে এই জলগুলো কাজে লাগবে

ভেবে দেখবেন

 কাউকে কথা দিয়ে জীবনে জড়িয়ে ফেলা অনেক
সহজ কিন্তু কঠিন হচ্ছে সেই
কথাটি ধরে রাখা ।
কাউকে কথা দেওয়ার আগে বারবার
ভেবে দেখবেন
কথাটা আপনি রাখতে পারবেন কি না।
মনে রাখবেন, নদীর
মাঝপথে কাউকে ছেড়ে না দিয়ে যদি শুরুতেই
বলে দেন
যে আপনি নৌকা চালাতে পারেননা তাহলে হয়তো আপনার
ভুলে তাকে ডুবে মরতে হবেনা ।তাই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার
বা দেওয়ার আগে বারবার ভাবুন তার
সাথে জড়িত দায়িত্বগুলোপাল ন
করতে পারবেন কিনা ।সবসময় খেয়াল
রাখবেন আপনার ভুলটা কখনো যেন
কারোর চোখের পানির
মাঝে বেচে না থাকে ।

আমি তো বেশ আছি

 
আমি তো ভালোই ছিলাম রাতের নীরবতায় নিজেকে লুকীয়ে রেখে
ছিল আমার এলোমেলো একটা জীবন
ছন্নছাড়া এই জীবন নিয়ে
আমি তো বেশ আছি
তবুও উড় মনে আজ হাজারো ভাবনা তোমাকে ঘিরে
আমার আমি কে নতুন করে সাজানোর
এক ইচ্ছার ডিঙ্গি নায়ে আমি কেন সাগর পাড়ি দিচ্ছি ??
কেন আমি আজ বাস্তবিক চিন্তা থেকে নিজেকে
এত দূরে রেখেছি ??
হয়তো আমি তোমায় এত ভালোবাসি বলেই ??
মনের জমানো আবেগ গুলো তো আমি সেই কবেই শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছি
তবে কেন আজ ওরা আবার পুনর্জীবিত ??
তবে কি আমি সত্যিই তোমায় ভালোবাসি ??
মাঝে মাঝেই কিছু প্রশ্নের বিষাক্ত তীর
এ মনের আবেগ গুলো কে ছিন্নভিন্ন করে দেয় ,
ভাবনার অজান্তেই এ মনের আকাশ টা ঢেকে যায় হারিয়ে যাবে তুমি নামক এক
বিশাল কালো ঘুটঘুটে চাঁদরে ।
এই অন্ধকার আজ আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে
তবুও এ অবাধ্য ভাবনা শুধু তোমাকেই ভাবে
কারণ আমি যে সত্যিই তোমায় ভালোবাসি

Wednesday, September 11, 2013

হয়তো ভালোবাসাই এমন


তুমি তো স্বপ্ন গুলো দিয়ে এ হৃদয় ছোঁয়ে ছিলে একদিন
তবে আজ কেমন করে ভুলে যাবো সেই স্বপ্ন গুলো আমি ?
তুমি তো বলে ছিলে ভালোবাসি তোমায়
তবে কেমন করে ভুলে যাবো তোমার কথা ,
এক মনে কতবার ভালোবাসা সৃষ্টি হবে
তাই কারো জন্য নতুন করে এ হৃদয় স্বপ্ন সাজায় না ,
আজো কষ্ট গুলো কে ভালোবেসে যাচ্ছে এ হৃদয়
তুমি নেই তবুও তোমার অদৃশ্য ভালোবাসার
এক স্পর্শ আমায় ছোঁয়ে যায় ,
হয়তো ভালোবাসাই এমন
হয়তো স্বপ্ন গুলোই এমন
হয়তো বিবর্ণ অনেক অনুভূতিই এমন, 
যা হৃদয় কে সাড়া জীবন ছোঁয়ে যাবে ।
কোন এক দিন বদলের দমকা হাওয়ায়
তুমি ভেসে এসেছিলে আমার জীবনে ,
আবার কাল বৈশাখীর এক ঝড় হয়ে
তুমি হারিয়ে গেছ আমার জীবন থেকে ,
থেকে গেছে ঝড়ের কিছু ক্ষত চিহ্ন এ বুকে
এ চিহ্ন গুলো মুছে যায় না
এ চিহ্ন গুলো আমার এক যন্ত্রণা

Monday, September 9, 2013

প্রতারণ

শিফাত রাজশাহীতে থাকে। ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ে। ৩য় বর্ষ শেষ করে রাজশাহীতে আসে তার মা বাবার কাছে। এবং তার কিচুদিন পরে আবার সে ঢাকায় ফিরে যায় এবং তখনই ফেসবুকে মিমি নামের একটি মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। সে রাজশাহীর এর একটি স্কুল এন্ড কলেজে পড়ে। ভালভাবে তাদের কথাবার্তা হতে থাকে। কিছুদিন পর মোবাইলে কথা বলা শুরু হয়। আস্তে আস্তে শিফাত এর মিমিকে ভাল লাগে। মিমিও শিফাত কে পছন্দ করত। একদিন সাহস করে প্রপোজ করে শিফাত আর মিমি রাজি হয় কিন্তু তারা তখন ও কেউ কাউকে দেখেনি। শিফাত মিমির সাথে দেখা করতে রাজশাহীতে আসে আর তাদের দেখা হয়। আস্তে আস্তে শিফাত মিমির উপর এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে তার ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ হয়। কিন্তু শিফাত মিমির উপর দুর্বল হওয়াতে তার বাবা কে বলে সে রাজশাহীতে চলে আসে এবং এখানকার একটি কলেজে ভর্তি হয় যাতে সে সবসময় মিমির সাথে থাকতে পারে। একদিন হঠাৎ শিফাত খেয়াল করল মিমির মোবাইলে প্রচুর কথা বলে। এ বেপারে সে জিজ্ঞেস করলে মিমি বলে তার বান্ধবীর সাথে কথা বলে। শিফাত আর কথা বাড়ায় নি। হঠাৎ এক রাতে মিমি শিফাতকে বলে তার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। শিফাত এই কথাটি শোনার পর আর স্থির থাকতে পারেনি। সাথে সাথে ফোন দেয় মিমির বান্ধবি কে। বান্ধবিও একি কথা বলে আর মিমিকে ভুলে যেতে বলে। শিফাত মিমির বাগদত্তার সাথে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ওই রাতে মিমির বাগদত্তার সাথে তার প্রচুর কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। শিফাত অনেক ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু মিমি কে ভুলতে পারেনা। ২ দিন পর শিফাত মিমির বাগদত্তার বেপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ওই ছেলে আসলে ফটকাবাজ। পরে মিমির বান্ধবি কে এই বেপারে জিজ্ঞেস করলে সে স্বীকার করে বলে ছেলেটির সাথে ৪দিন আগে মিমির পরিচয় হয় আর ছেলেটি অনেক টাকার মালিক। শিফাত কথা গুলো শোনার পর মিমির উপর প্রচুর ক্ষোভ আসতে লাগলো কিন্তু তবুও মিমি কে সে ভালোবাসতো। সে মিমি ও তার বান্ধবি কে ছেলেটির বেপারে সব জানায়। মিমি কে বিষয় গুলো জানানর পর শিফাত মিমি কে তার সাথে থাকতে বলে। হয়ত মিমি তখন বিষয়টি বুঝেছিল। তাদের সম্পর্ক আবার আগের মত চলতে লাগলো। কিন্তু শিফাত এর মনে তবুও একটা ভয় কাজ করত। শিফাত মিমির ফেইজবুক পাসওয়ার্ড জানত না। কিন্তু হটাত করে একদিন সে পাসওয়ার্ড পেয়ে যায় কিন্তু সে মিমিকে ভয়ে তা জানায়না। কিন্তু ১ মাসের ভিতর মিমি বুঝে ফেলে আর তাদের মাঝে আবার ব্রেক আপ হয়। শিফাত অনেক বার মাফ চায় মিমির কাছে কিন্তু মিমি মাফ করেনা উল্টা সে শিফাত এর একটি বন্ধুর সাথে রিলেশান করে। শিফাত মিমি কে বুঝাতে লাগলো কিন্তু লাভ হলনা। পরে ওই বন্ধু শিফাত এর কাছে মিমির নামে অনেক বাজে কথা বলে আর মিমি তা জানতে পারে। মিমি এর সাথে ওই ছেলের ব্রেক আপ হয়। শিফাত তখনও মিমির কাছে মাফ চেয়ে তার সাথে থাকতে বলে। আবার ওদের সম্পর্ক শুরু হয়। শিফাত চেয়েছিল মিমি যাতে সবসময় তার কাছে ভাল ভাবে থাকে। কিন্তু সে শিফাত এর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যা খুশি তাই করত। ফোনে কথা বলা, ঘুরতে যাওয়া এসব বেপারে শিফাত এর কিছুই বলার থাকত না। কিছু বলতে গেলেই সে বলত রিলেশান রাখার দরকার নাই। মিমি কে নিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল শিফাত কে। তবুও শিফাত তাকে ভালোবাসতো বলে সব সহ্য করত। রাতে মিমি শিফাত এর সাথে কথা না বলে অন্যদের সাথে কথা বলত আর কথা বলার পরিমান আরও বাড়তে লাগলো। তবুও শিফাত হাসিমুখ নিয়ে মিমির সাথে থাকতে লাগলো। শিফাত তখনও জানতোনা সব মিমির অভিনয়। কিছুদিন পর শিফাত এর কাছে একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে, আর যে ফোনটি করে সে মিমির একজন প্রেমিক। মিমি ছেলেটির সাথে ২মাস সম্পর্ক রেখে ব্রেক আপ করে আর তাই ছেলেটি মিমির কল লিস্ট বের করে সেখানে অনেক ছেলের নাম্বার পায় যাদের সাথে মিমির ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা হয়। ছেলেটি আর জানায় মিমির আরও প্রেমিক আছে। পরে শিফাত খবর নিয়ে জানতে পারে মিমি আমেরিকা তে একজন প্রেমিক আছে। রাজশাহীতে আরও একজনের সাথে সম্পর্ক গড়েছে। শিফাত এর সাথে সম্পর্ক হওয়ার আগে ওর অনেক জনের সাথে সম্পর্ক ছিল। শিফাত তখন তার পায়ের নিচে আর মাটি পেলনা। যাকে নিয়ে এত স্বপ্ন দেখল সেই মেয়ে তার স্বপ্ন কে বারবার ভেঙ্গে চুরমার করে দিল। তারপর শিফাত মিমির কলেজে গিয়ে তাকে আলাদা করে ডেকে সব কিছু জিজ্ঞেস করল কিন্তু সে স্বীকার করেনি। এসব নিয়ে তার সাথে অনেক ঝগড়া হল। পরে সে স্বীকার করে। এরপর শিফাত আর কিছু বল্লনা। সব সম্পর্ক কে মাটি চাপা দিয়ে চলে আসতে হল শিফাতকে। মিমির মনে শিফাত কে নিয়ে একটুও চিন্তা আসেনি কারণ হয়ত সে কখনও তাকে মন থেকে ভালোবাসেনি। সে তার আনন্দ নিয়ে আছে। আর শিফাত এখনও মিমি কে ভালোবাসে, ভালবাসবে। মাঝে মাঝে মিমি কে অনেক মনে পড়ে আর কাঁদে আবার কিছুক্ষণ পর চোখের পানি মুছে ফেলে। মিমি হয়ত একদিন তার ভুল বুঝবে, ওকে বুঝতে হবে। আর শিফাত মনে মনে একটি মিথ্যা বারবার বলে, " সত্যি বলছি তোমাকে আর ভালোবাসিনা।

Sunday, September 8, 2013


অনুভূতিহীন ছোট ছোট স্বপ্ন গুলো
এখন গুটি বেঁধেছে এই হৃদয়ে
কাছে পাওয়ার ইচ্ছে গুলো
আজ বাঁধন হারা
বার বার ছুটে যায় সেই তোমার কাছেই
একাকী নীরবে ফিরেও এসে প্রতিনিয়ত
নিয়তির লেখা হয়তো এমনই হয়
এত কাছে থেকেও বলতে পারি না তুমি আমার
এ অপারগতা টুকু আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে প্রতিদিন
আর আমিও যন্ত্রণার তীব্র বিষাক্ত ছোবলে
হাজার বার মৃত্যু কে বরণ করে নিচ্ছি ,
তবুও কাঙ্ক্ষিত ভালোবাসার হাত দুটি বাড়িয়ে আছি
যদি কোনদিন পিছন ফিরে তাকাও দেখবে
আমি অপেক্ষায় শুধু তোমার জন্য
জানি বাস্তবতা কোন একদিন এই স্বপ্ন গুলো কে গলা টিপে টিপে মারবে
আর আমার হৃদয়ে রেখে যাবে হারানো নামের কোন এক
অসমাপ্ত কাব্য,
যেখানে তুমি থাকবে না কিন্তু তোমার স্মৃতি গুলো আজীবন এ হৃদয়ে থেকে যাবে ভাবছ কষ্টটা আমার ??
চেয়ে দেখ তোমার চোখের কোনে কিছু নুনা জল
ভাবিনি তুমি কাঁদছ , ভেবে নিলাম তোমার হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণ যা অশ্রু হয়ে তোমাকে
বার বার কিছু স্বপ্নের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে
যে স্বপ্ন এখন মৃত, কিন্তু তোমার হৃদয়ে দাগ গুলো জীবন্ত

Saturday, September 7, 2013

ভোটের আগে ও পরে


ভোট আসিলেই দোতা সাজে
ভোটে দারায় যিনি
মানব সেবাই নিয়োজিত
থাকেন সদায় তিনি ॥

মিষ্টি হাসি, মিষ্টি কথা
থাকে তার মুখে
প্রতিশ্রুতি করে সে
থাকবে সুখে দুঃখে

চুপি চুপি রাতের বেলায়
টাকা দিয়ে কয়
দেব তোমায় বাড়ি করে
ভোট-টা দিও ভাই ॥

কাউকে বলে জমি দেব
কাউকে বলে টিন
ভোট ফুরালে ভুলে যায়
ফেলে আসা দিন ॥

দুঃখি মানুষ দুঃখের সাথে
লড়াই করে বাচে
পাশ করে মোটা টাকা
খায় সে বসে বসে ॥

খেয়ে খেয়ে বাড়ায় ভুড়ি
দেখেনা তো চেয়ে
গরিব দুঃখির দিন গুলো
কাটছে কেমন করে ॥

টাকার মহল গড়ে তুলে
পরের কয়েক মাসে
দিন দুঃখিনী দরিদ্র লোক
মরছে না খেয়ে ॥

এটাই তাদের নিয়ম নিতি
এটাই তাদের রীতি
তাদের কথায় বিবেক টারে
করো নাকো বিক্রি ॥

যদি করো তাদের কথায়
বিবেক টারে বিক্রি
দুঃখ কষ্ট হবে তোমার
নিত্য দিনের সাথী ॥

নীরবে হারিয়ে যাওয়া



আজ প্রথম কলেজে যাবে তুহিন, বরাবরের মত এবারো তুহিন চুপচাপ কারণ তুহিনে কোন কিছুতেই খুব একটা আনন্দ নেই, তার মানে এই নয় যে সে আনন্দ করে না । আসলে তুহিন নীরবতা কে ভালোবাসে অনেক বেশী তাই সে একা থাকে, তার নিজের পৃথিবীতে স্বপ্ন, ভালো লাগা, পছন্দ, অপছন্দ সব কিছুই মনে হয় তুহিনের মত নীরব তাই আজ কলেজের প্রথম হলেও সে তার মতই আছে। যাচ্ছে কলেজের দিন গুলো আস্তে আস্তে দু একজন করে ভালো একটা বন্ধুতের পরিবার হয়ে গেছে তুহিনের এখন, এখন কারিম, শিমুল, আজিজ, সুজন, রাসেল এক দুটা মেয়ে বন্ধুও আছে এখন শম্পা আর মৌসুমি ভালোই আড্ডা ক্লাস সব কিছু মিলিয়ে তুহিনের জগতটা একটু অন্য রকম হয়ে গেছে । দেখতে দেখতে কলেজের বছর শেষ হয়ে গেল। এখন সবাই একজন একজন কে বুঝে বন্ধুদের বন্ধন অনেক শক্ত এখন সারা দিনে অন্তত সবাই সবার খোঁজ নেয় ।
তুহিন একজন সাংবাদিক তার আরও একটি পরিচয় হলো সে অনেক ভালো কবিতা ও গল্প লিখে যদিও তার কবিতা গুলো তার ডাইরি পাতার নিচে পরেই প্রতিদিন হাজার বার মারা যায় তবুও সে লিখে, বন্ধুরা বলে দেখিস তুই একদিন অনেক বড় কবি হয়ে যাবি, সেদিন আবার ভুলে যাবি না তো ?? আরে কিসের ভালো লিখি আর কেউ চিনবে না আমায় তাই তোদের ভুলা হবে না কোনদিন বুঝলি কিন্তু তোরা আমায় ভুলে যাস না তুহিন এমন করেই বলে।
তুহিনের সেদিনও কলেজে বসে আসে হঠাৎ করেই কে যেন পিছন থেকে এসে জানতে চাইলো কোন এক ডিপার্টমেন্টের কথা, তুহিন দেখিয়ে দিলো। বুঝতে পেরেছে হযতো এই এই কলেজে নতুন এই মেয়েটি
সারাদিন পর তুহিন যখন বের হবে করেজ থেকে আবার সামনে এসে পরল সেই সকালের মেয়েটি তবে এবার কোন কিছু জিজ্ঞেস করতে নয় ধন্যবাদ দিতে, আসলে আমি দুঃখিত সকালে আপনাকে ধন্যবাদ না দিয়েই চলে গিয়েছিলাম আমি মনালিসা আজই প্রথম এখানে, বলতে পারেন ১ম ইয়ার, ওহ আচ্ছা আমি তুহিন ২য় ইয়ার,পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো, তো ঠিক আছে আমি তো এখন বের হবো আমার ক্লাস নেই, আমিও তো বের হল চলুন এক সাথে হাঁটতে হাঁটতে বের হই।
মাঝে মাঝে মনালিসা সাথে কথা হয় তুহিনের কোন ছোটখাট দরকার পরলেই তুহিনের কাছে ছুটে আসে মনালিসা, একটা ছোট বন্ধুত্ব হয়ে যায় তুহিনের সাথে। কথা বলতে বলতে আপনি থেকে তুমি।
আধুনিকতার আর এক ধাপ ফোন , হ্যাঁ মাঝে মাঝে রাতে কথা বলে দুজনে আর সারাদিন আড্ডা হয কলেজে, তুহিনের বন্ধুরা মাঝে মাঝে বলে কিরে তুই কি মনালিসা কে নিয়ে কাব্য রচনায় ব্যস্থ নাকি? আরে না ও মাঝে মাঝে আড্ডা দিতে আসে আমার এখানে, অন্য কিছু নয়।
বন্ধুদের কথা গুলো যে তীরের মত করে তুহিনের হৃদয় কে ছুয়ে গেছে, তবে কি সত্যিই তুহিন মনালিসা কে নিয়ে অন্য কিছু ভাবতে শুরু করেছে?? হয়তো ভালোবাসাটাই এমনই, কখন কার হৃদয়ে জন্মনেয় কেউ জানে না, সেদিন বিকালে তুহিন আর মনালিসা বসে কথা বলছে হঠাৎ করেই মনালিসা তুহিনের ডাইরি টা খোলে দেখে একটা ছোট্ট কবিতা লেখাঃ-
যেদিন প্রথম তোমায় দেখেছিলাম
জানি না এ হৃদয়ে কেন দোলা দিয়েছিল
ভাবিনি কোনদিন তোমার এত কাছে আসবো
ভালোবেসে তোমার হাতে হাত রাখবো
বাহ অনেক সুন্দর তো কার জন্য তুহিন?? আরে কারো জন্য না এমনি লিখলাম। তুহিন বলে ইশশ কেউ যদি আমার জন্য লিখত এমন করে , তুহিন যদি আমি লিখি যদি বলি তোমার জন্যই এই লেখা তুমি কি হাতে হাত রাখবে আমার?? মনালিসা আমি হাতে হাত রাখবো বলেই তো তোমার এত কাছে যা তুমি এত দিন বুঝনি, তুহিনের নতুন পৃথিবী মনালিসা কে নিয়ে। তুহিনের ছন্দহীন কবিতা গুলো এখন রঙ্গিন , এখন তুহিন অন্য এক পৃথিবী সাজিয়েছে যেখানে শুধুই মনালিসার বসবাস, বেশ ভালোই কাটছিল সম্পর্কের অনেক গুলো দিন, কিন্তু বেশ কিছু দিন পরে আস্তে আস্তে মনালিসা বদলে যেতে থাকে, মনালিসার পৃথিবী থেকে তুহিনের চিহ্ন গুলো মুছে যেতে থাকে , তুহিন বুঝতে পারে সে একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে মনালিসার জীবন থেকে, সে আর আগের মত নেই, অনেক বার তুহিন মনালিসার কাছে জানতে চেয়েছে কেন মনালিসা হারিয়ে যেতে চায়, প্রতিবাবের মত একই উত্তর আমি আসলে সম্পর্ক রাখতে চাই না , কিন্তু কেন ?? উত্তর টা অজানাই থেকে গেছে তুহিনের তার বেশ কিছু দিন পর হঠাৎ করেই তুহিনের ফোনে মনালিসা একটা মেসেজ আসে যেখানে লেখা ছিল

“তুহিন আমায় ক্ষমা করে দিও আজকের পর থেকে হয়তো তুমি আর আমাকে পাবে না কোনদিন কারণ আমি আমার পরিবারের ইচ্ছায় আজ দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছি তুমি যখন এই মেসেজ পাবে আমি তখন অনেক দূরের পথিক । বলতে কষ্ট হচ্ছে তবুও আমার রিলেটিভের সাথে ওখানে আমার বিয়ে”

তুহিন বাক্যহীন ! এই কি ছিল তার প্রথম ভালোবাসা?? আজ তুহিন নিথর, শুধু অন্ধকার ঘর নয়। কিছু খারাপ বন্ধুদের সাথে মিলে তার জগতও অন্ধকার, যেখানে নেশা করে এমন হাজারো তুহিন পড়ে আছে আর নিজেকে ধ্বংস করে দিচ্ছে কোন এক মনালিসার জন্য ।
অনেক বছর পর মনালিসা দেশে এসেছে আজকে, হঠাৎ করেই পুরনো কিছু বন্ধুর খোঁজ করে , পেয়ে যায় অনেক কে, সবার খোঁজ খবর নেয় কিন্তু তুহিনের কোন খবর নেয়নি , পর দিন বিকালে সে তুহিনের চলে যায় হয়তো সামনে থেকে ক্ষমা চাইবে বলেই, কিন্তু আজ তুহিনদের বাড়িতে এত মানুষ কেন? তুহিনের সব বন্ধুরাও আছে, একটু সামনে যেতেই তুহিনের এক বন্ধু শুধু বলল মনালিসা তুমি! তুহিন তো আজ মারা গেছে তুমি জানো ? চোখে পড়লো তুহিনকে শুয়ে আছে আছে সাদা একটা কাফনে, মুড়িয়ে রেখেছে তাকে , মনালিসা কে আর ক্ষমা চাইতে হবে না, হয়তো তুহিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগেই এমনি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে কারন তুহিন যে তাকে সত্যিই ভালোবাসতো । আজ মনালিসার চোখে অশ্রু , কিন্তু এই অশ্রু গুলোই কি সবকিছু ?? এই আবেগি কিছু অশ্রুই কি একটা ভালোবাসার শেষ পরিনতি ??
এই প্রশ্ন এমন হাজারো মনালিসার কাছে
কাররো জীবনের সাথে এই গল্পের কোন মিল থাকলে দুঃখিত। কারন গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক

Thursday, September 5, 2013

বিচ্ছেদ গল্প

এত জোর গলায় ডাকছি তুমি শুনছো না
একবার আমায় ভেবে দেখো, তুমি শুনবে
আমি তোমার প্রতিভাষের অপেক্ষায় জানলার পাশে
কান পেতে বসে আছি ;আর সেই একযুগ থেকে
খুঁজছি তোমার পদচিহ্নের ছাপ ঐ কুয়াশায় ভেজা
বকুল বাগানে ; নতুন কুঁড়ি ফুটে আবার জড়ে যায়
তবুও পাইনি তোমার সাক্ষাৎ , আমার হারানো অনুভূতি ;
শুধু একটি গল্প বলবো বলে ।
একটি হরিণী ও বৃদ্ধ চিতাবাঘের প্রেমে পড়ার গল্প
প্রতিদিন নতুন করে সংলাপ লিখি আবার মুছে ফেলি
কি যেন একটু অমিল থেকেই যায় ।
তোমার ছোঁয়া না পেলে কবেই বা আমার কবিতা পূর্ণ হয়েছে
তাই হয়তো বার বার শেষ দিকে এসে এমন হচ্ছে
আমি অনেক চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত
যুগল ধরে রাখতে পারছিনা ওদের, বিচ্ছেদ হয়েই যায় ;
কেন এমন হচ্ছে , একটি বার এসে বলে দিবে আমায় ?
আর লিখবো না কবিতা , আর জ্বালাবনা তোমায়
এটাই শেষ , এটাই তোমার স্পর্শের শ্রেষ্ঠ কবিতা ।

Wednesday, September 4, 2013

অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি


আজ বিকেলে তোমার প্রিয় রঙের শাড়ি আর হাত ভরে চুড়ি পরে আসবে, আর আমি তোমার দেয়া মেরুন রঙ্গের পাঞ্জাবি পরে আসবো, ফোনের ওপাশ থেকে এমন কিছু কথা শুনতে পাচ্ছে ঝিনু, আজ ঝিনু আর অর্ক দেখা করবে তাদের সেই প্রথম দেখা করার জায়গায় যদি তারা অনেক বার দেখা করেছে, তবুও আজ আবার যাবে অর্কের নাকি ওখানে গেলে প্রতিবার নতুন করে ঝিনুর প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করে, কারণ এখানেই প্রথম ঝিনু কে তার ভালোবাসার কথা বলেছি দুপুর পেরেয়ি সন্ধ্যা হলে তারা ফিরে আসে প্রতিবার। হয়তো আজো তাই করবে, অর্ক চলে আসে তার দেয়া সময় মতই কিন্তু ঝিনু আজ একটু দেরি, আসতে পারিনি এখনো, হয়তো চিরাচরিত সেই যানজট নয়তো বাসা থেকে বের হতে একটু সময় লেগেছে, অপেক্ষার প্রহর সত্যিই যন্ত্রণার, অর্ক ফোন করে ঝিনুর ফোন টাও বন্ধ, বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা হতে যাচ্ছে ঝিনু এখনো আসেনি ফোনটাও এখন পর্যন্ত বন্ধ, অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হল, না ঝিনু আসেনি, সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই অর্ক ফিরে যাচ্ছে, হাতের তাজা ফুল গুলো মলিন হয়ে গেছে। অর্ক ফিরে আসে বাসায়, হাজারো প্রশ্ন অর্কের মনে জন্ম  নিয়েছে কেন ঝিনু এমন করলো, ঝিনু তো অন্য মেয়েদের মত না, ঝিনু কি ভালোবাসা নামে প্রতারণা করলো, অর্কের এমন উড়ো প্রশ্ন যেন মাথা থেকে যাচ্ছে না, নির্ঘুম রাত্রি জাপনে এমন অজানা হাজারো প্রশ্ন আসে উত্তর হীন হয়ে ফিরে যায়ে অক্রের কাছ থেকে।  অর্কের ভাবনা গুলো ভুল ছিল না , কারণ অনেক দিনের সম্পর্কের মাঝে অর্ক জেনেছে ঝিনু এমন করার কথা নয় তবুও কেন এমন করলো ? তবে কি অর্ক ভুল মানুষ কে ভালবেসেছে ?? অন্য অনেকের মতই কি অর্কের জীবনেও নেমে এসেছে অন্ধকার ? অর্ক কি প্রতারিত ভালোবেসে ?? ভাবতে ভাবতে অর্ক যেন হারিয়ে গেছে অতীতে, কেন মানুষ এমন করে ?? বেশ কয়েক বার ফোনে চেষ্টা করেছে অর্ক কিন্তু ফোন টা বন্ধ, অর্ক শুধু জানতে চায় কেন ঝিনু এমন করলো ?? ইচ্ছে ছিল ঝিনু কে শুধু কয়টা প্রশ্ন করবে কি পেয়েছে ঝিনু এই মন ভাঙ্গার খেলাতে তা আর হয়ে উঠে নি কারণ ফোন তা বন্ধ এখনো ? দেখতে দেখতে বেশ কিছু দিন চলে গেছে তবুও অর্কের মন যেন মেনে নিতে পারছে না, হঠাৎ অর্ক একদিন চিন্তা করে ঝিনুদের বাড়িতে যাবে শুধু প্রশ্ন করার জন্য কেন ঝিনু এমন করলো, সেদিন এক বিকেলে ঝিনু সাথে দেখা করার ইচ্ছেতেই অর্ক ঝিনুদের বাড়ি যায় আগেও গিয়েছে তাই পরিচিত মুখ গুলো কে আজ অপছন্দের তালিকায় রেখেই জিজ্ঞেস করছে ঝিনু নেই বাড়িতে ? পরিচিত একজন আছে তো কিন্তু তুমি এত দিন পরে হঠাৎ কোথায় ছিলে তুমি ?? অর্ক প্রশ্ন গুলোর উত্তর না দিয়ে আবার জানতে চাইছে ঝিনু কে একটু ডেকে দিবেন , আচ্ছা তুমি থাকো আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি একটু পর ঝিনু আসলো কিন্তু এ কি ঝিনু হাঁটছে না একটা মানব চালিত চেয়ারে বসে আছে ঝিনু হইলচেয়ারে কেন ঝিনু ?? ঝিনু কিছু বলতে পারেনি শুধু ক ফোঁটা অশ্রু বয়ে গেল , অর্ক কি হয়েছে তোমার বল ?? কি তুমি হইলচেয়ারে কেন ?? ঝিনু সে অনেক কথা বাদ দাও তুমি এত দিন কেমন ছিলে কই ছিলে ?? অর্ক কি হয়েছে বল আমি শুনতে চাই সব, আমার কথা পরে শুনবে, ঝিনু তুমি সেদিন আসুনি কেন ? ঝিনু চুপ করে আছে আবার সেই একই প্রশ্ন কেন আসনি তুমি ??ঝিনুর উত্তর আমি গিয়ে ছিলাম কিন্তু তোমার ওখান পর্যন্ত যাওয়ার আগেই আমি যে রিক্সা করে যাচ্ছিলাম তার উপর দিয়ে চলে যায় এক বাস , আমার এক্সিডেন্ট হয় , শুনেছি আমার অবস্থা খারাপ ছিল যেদিন জ্ঞ্যান ফিরল দেখি আমি বেঁচে আছি কিন্তু আমার পা দুটো নাই, শুনলাম আমাকে বাঁচাতে গিয়ে পা গুলো কেটে ফেলতে হয়েছে।হসপিটাল থেকে আসে আমার পুরনো নাম্বার তা আবার উঠালাম , ইচ্ছে ছিল তোমায় একটা ফোন করবো কিন্তু আমি পারিনি কারণ আজকের এই আমি অনেক বেশী বেমানান তোমার পাশে তাই আর পারিনি তোমার সাথে কথা বলতে । অর্ক যেন নিথর হয়ে গেল তার ভালোবাসার কথা গুলো যেন অশ্রুতে আসে থেমে গেল , শুধু একটা কথা অর্ক ঝিনু কে বলল আমি তোমায় ভালবেশি তুমি যেমন আছ আমি তোমাকে তেমন ভাবে মেনে নিলাম আমার জীবনে আমি যে তোমায় মন থেকে ভালোবাসি । ঝিনুর অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি যেন আনন্দের অশ্রু হয়ে তাকে ভাসিয়ে দিয়ে যাচ্ছে, অর্কের হাতে হাত রেখে সে যেন আবার হারিয়ে যেতে চাচ্ছে সেই পুরনো দিন গুলোতে। হয়তো অর্কের ভালোবাসা সত্যতা এখানেই ছিল যা ঝিনু বোঝেনি আগে.....................

Tuesday, September 3, 2013

একটি ছেলে তিন বছর সম্পর্কের পর মেয়েকে বলতেছে


 
ছেলেঃ আমার মনে হচ্ছে আমি তোমাকে ভালোবাসি না ।
মেয়েঃ কি ??
ছেলেঃ হ্যা , আমি আমার জীবনকে তোমার সাথে থেকে নষ্ট করতে পারবো না ।
মেয়েঃ তুমি এই গুলো কি বলতেছ ??? এই রকম করো না আমার সাথে ।
আমার ভুলটা কোথায় ? প্লিস বল ।
ছেলেঃ আমি ব্রেক আপ চাচ্ছি ।
মেয়েঃ আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না
ছেলেঃ কিন্তু আমার ব্রেক আপ চাই । এইটা বলে ছেলে টা চলে গেল । মেয়েটি রাত্রে বেলা অনেক কান্নাকাটি করল । সে বুঝে উঠতে পারছেলিনা যে সে কি হারিয়েছে । এই রকম কিছু দিন যাওয়ার পর ও ছেলেটি মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করলনা । তখন মেয়েটি নিজেকে অনেক শক্ত করল । এবং সে তার বাবমাকে তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্যে পাত্র দেখতে বলল ।তারপর সে অন্য একটি ছেলে কে বিয়ে করল । সে সব সময় ভাল থাকার চেষ্টা করত কিন্তু পারত না ।এমনকি তার বিয়ের পর ও প্রত্যেক রাতে সে কাঁদত সেই ছেলেটির জন্যে যে তাকে অন্ধকারে একা রেখে চলে গেছে । সে এখনো বিশ্বাস করে তার সেই মানুষটি তার কাছে আসবে , এবং তাকে নিয়ে একসাথে থাকবে, কিন্তু তা আর হল না । বিয়ের ২ বছর পর মেয়েটি ছেলেটির বাড়িতে গেল তার বোনের সাথে দেখা করতে । তার বোনতাকে ছেলেটির রুমে নিয়ে গেল এবং তার হাতে একটি চিঠি দিল এবং কেঁদে কেঁদে বলল , যে তার ভাই ২ বছর আগে ক্যান্সার এ মারা গেছে । তারপর মেয়েটি বাড়িতে গেল ,তারপর চিঠি টি খুলে পড়তে লাগলো "জান আমি জানি তুমি এখনো আমার জন্যে অপেক্ষা করছ ,কিন্তু এই তা হয়তো আমাদের নিয়তিতে নেই । তুমি মন খারাপ করো না , আমি এই কাজ করেছি শুধু তোমাকে শক্ত করার জন্যে ,তোমাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে।কখনো নিজেকে দোষারোপ করো না কোন কিছুর জন্যে । আমি এখনো বেচে আছি তোমার হৃদয়ের মাঝে । আছি না ?? এবং তোমার ভালবাসা কখনো হারাবে না ।আশা ছেড়ো না, সব সময় হাসি খুশি থাকবে ,তুমি জানো আমি তোমার হাসি মুখ তা দেখতে অনেক ভালোবাসি ।আমি সব সময় তোমার সাথে ছিলাম, আছি, থাকব ।